পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড ১৯৪২)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ >२ ] હૈં डाँठे छूछि আজ আর একটু হলেই আমার দফা নিকেশ হয়েছিল । তরীর সঙ্গে দেহ তরী আর একটু হলেই ডুবেছিল । আজ সকালে পাটি থেকে পাল তুলে আসছিলুম— গোরাই ব্রিজের নীচে এসে আমাদের বোটের মাস্তুল ব্রিজে আটকে গেল— সে ভয়ানক ব্যাপার— একদিকে স্রোতে বোটকে ঠেলচে আর এক দিকে মাস্তুল ব্রিজে বেধে গেছে— মড়মড় মড়মড় শব্দে মাস্তুল হেলতে লাগ ল একটা মহা সর্বনাশ হবার উপক্রম হল এমন সময় একটা খেয়া নেীকে এসে আমাকে তুলে নিয়ে গেল এবং বোটের কাছি নিয়ে দুজন মাল্লা জলে ঝাপিয়ে সাৎরে ডাঙ্গায় গিয়ে টানতে লাগ ল— ভাগ্যি সেই নেীকে। এবং ডাঙ্গায় অনেক লোক সেই সময় উপস্থিত ছিল তাই আমরা উদ্ধার পেলুম, নইলে আমাদের বাচবার কোন উপায় ছিল না— ব্রিজের নীচে জলের তোড় খুব ভায়ানক— জানিনে, আমি সাৎরে উঠতে পার তুম কি না কিন্তু বোট নিশ্চয় ডুব ত । এ যাত্রায় দু তিনবার এই রকম বিপদ ঘটল । পান্টিতে যেতে একবার বটগাছে বোটের মাস্তুল বেধে গিয়েছিল সেও কতকটা এই রকম বিপদ— কুষ্টিয়ার ঘাটে মাস্তুল তুলতে গিয়ে দড়ি ছিড়ে মাস্তুল পড়ে গিয়েছিল আর একটু হলেই ফুলচাদ মারা গিয়েছিল –মাঝিরা বলচে এবার অযাত্রা হয়েছে – খুব ঘন মেঘ করে এসেচে– সমস্ত নদী তরঙ্গিত হয়ে উঠেছে—