চিঠিপত্র سامانه পাঠিয়েছে পেয়েছ 'ত? মুগকলাই প্রভৃতি সমস্ত স্কুলের জন্য । ছোলা হলে ছোলা পাঠাবে। রথীকে আমি উচ্চতর জীবনের জন্য প্রস্তুত করতে চাই— স্বতরাং নিয়ম সংযম এবং কৃচ্ছসাধন করতেই হবে— যতই দৃঢ়তার সঙ্গে লেশমাত্র লঙ্ঘন না করে সে নিজের ব্রত সাধন করবে ততই সে মামুষের মত মানুষ হয়ে উঠবে। আমরা ত বাল্যকাল থেকে কেবল নিজের ইচ্ছা চরিতার্থ করার দিকেই মন দিয়েছি— তার ফল হয়েছে বড় ideaর চেয়ে, পরমার্থের চেয়ে, মনুষ্যত্বের চেয়ে, এমন কি প্রেম এবং মঙ্গলের চেয়েও আমাদের ক্ষুদ্রতম ইচ্ছাগুলোকেই আমরা বড় দেখি— কোনমতেই কারো জন্তেই কিছুর জন্যেই তাকে অল্পমাত্রও পরাস্ত হতে দিতে পারি নে— কাজের ক্ষতি করে ব্রত নষ্ট করে প্রিয়জনদের মনে গুরুতর আঘাত দিয়েও আমাদের অতি তুচ্ছ ইচ্ছাগুলোকে লেশমাত্র খৰ্ব্ব করতে পারিনে। নিজের ইচ্ছাকেই এইরূপ জয়ী হতে দেওয়া এটা বস্তুত নিজেকেই পরাস্ত করা, নিজের উচ্চতন মনুষ্যত্বকে নিজের দীনতার কাছে বলি দান দেওয়া— এতে যথার্থ মুখ নেই কেবল গৰ্ব্বমাত্র অাছে। অামাদের যা হয়েছে বোধ হয় তার আর প্রতিকার নেই— এখন ছেলেদের নিজের হাত থেকে মঙ্গলের হাতে ঈশ্বরের হাতে সমর্পণ করতে চাই— তিনি এদের ঐশ্বৰ্য্যের গৰ্ব্ব, ইচ্ছার তেজ, প্রবৃত্তির বেগ, দশের আকর্ষণ অপহরণ করে মঙ্গলের ভাবে এবং সুকঠিন বীৰ্য্যে ভূষিত করে তুলুন। এই আমার কামনা— আমরা আমাদের
পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড ১৯৪২)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮১
অবয়ব