পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যন্ত্রের দ্বারা মাংসপেশীর এই বিকৃতি ও প্রকৃতির উত্থান-পতন-রেখা অঁকিয়া লওয়া যায়। যদি মাংসপেশীতে থাকিয়া থাকিয়া চাপ পড়ে, তবে তাহার তরঙ্গরেখা (curve) করাতের মত দস্তুর হইয়া অঙ্কিত হয়। যদি এই চাপ অত্যস্ত ঘন ঘন হইতে থাকে, তবে অবশেষে এমন একটি অবস্থা আসে, যখন মাংসপেশী নিরস্তর সঙ্কুচিত হইয়া ধতুষ্টঙ্কারের অক্ষেপ উৎপন্ন করে । অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা গরমে মাংসপেশী আড়ষ্ট হইয়া যায়, তখন আঘাতে তাহার সাড়া পাওয়া যায় না এবং প্রকৃতিস্থ হইতেও বিলঙ্গ ঘটে । আবার বিশেষ মাত্রার উত্তাপে মাংসপেশীর সাড সৰ্ব্বাপেক্ষ) বাড়িয়া উঠে । এই উত্তাপের মাত্রা ভিন্ন মাংসপেশীর পক্ষে ভিন্ন রূপ । দ্রব্য গুণে মাংসপেশীর সাড় বাড়ে কমে। উত্তেজক পদার্থে সাড প্রবল হইয়া উঠে এবং প্রকৃতিস্থতা ও শীঘ্র ফিরিঘা আনে। অবসাদক পদার্থে বিপরীত ফল হয় এবং বিষে এই সাড়-শক্তি একেবারে নষ্ট করিঘা ফেলে। ইহা ও দেথা গিয়াছে, কোন কোন দ্রব্য মাত্রাবিশেষে উত্তেজনা ও অন্ত মাত্রায় অবসাদ আনিয়ন করে । সঞ্জীব মাংসপেশীকে ছাড়িয়া যদি সঞ্জীব স্বায়ুকে লইয়া পরীক্ষণ করা যায়, তবে তাহাতে ও এই রূপ পরে পরে সাড ও প্রকৃতি-লাভ দেখা যায়। কিন্তু স্বায়ুতে এই সাড়ার প্রকাশ অন্য প্রকার। ঘা লাগিলে স্বায়ুর আহত বা উত্তেজিত অংশ হইতে সুস্থ অংশ পর্যন্ত একটি বিদ্যুৎপ্রবাহের স্থষ্টি হয় । পুন:পুন আঘাত, শীতা তপের মাত্রাধিক্য, এবং উত্তেজক বা অবসাদক দ্রব্যস্বারা স্বায়ুতে যে ক্রিয়া ও ক্রিয়াশাস্তি উপস্থিত হয়, যন্ত্রবিশেষের দ্বারা তাহার রেখাচিত্র লওয়া হইয়াছে। মাংসপেশীর চিত্রের সহিত তাহার সাদৃশু দেখা যায়। অধ্যাপক এইরূপ বিবিধ চিত্র সংগ্ৰহ করিয়াছেন। দেহবিদগণ বলেন, দেহপদার্থের মধ্যে এই সাড়ই "ט x x