পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জন্ত কি করা হইয়াছে ? দেশের যথাসম্ভব লোক যাহাতে চায়ের স্বাদ । পায়, চা-পান করিতে অভ্যন্ত হয়, তাহার জন্য দেশ জুড়িয়া সস্তায় চাবিক্রয়ের বন্দোবস্ত করা হইয়াছিল। অত্যন্ত সেরা জাতের দামী চা চড়াদরে বাজারে বাহির করা, দেশে চা-প্রচলনের পক্ষে ভাল উপায় বলিয়া গণ্য হয় নাই । দেশে নৃতন বিষ্ঠা চালাইবারও এই একই উপায়। প্রথমপরিচয়ের স্বাদ বিস্তার করিবার জন্য শিক্ষার প্রণালীকে সরল করা চাই – যখন অনেক লোকের মধ্যে শিক্ষার গোড়াপত্তন হষ্টয়া যাইবে, দেশের লোক যখন এই বিদ্যার রস পাইতে থাকিবে, তখন যোগ্যতার বাছাই করিবার জন্য এখনকার চেয়ে কড়াকড়ি চলিতে পারিবে । বিদেশী য়ুনিভার্সিটির চেয়ে আমাদের আদর্শ থাটো হইয়া পড়িবে, এই মিথ্যালঙ্গার কোনো মূল্য নাই । সেখানকার আদর্শও চিরদিন একইভাবে ছিল না— জ্ঞানের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে আদর্শ উচ্চ হইয়া উঠিয়াছে। যাই হোক না কেন, রাজবাড়ীতে সকলে ক্ষীর থাইতেছে বলিয়া, দরিদ্র বেচারাকে সেই আদশে লজ্জার বশে দুধ খাওয়া ছাড়িতে কেহ পরামর্শ দিবে না— আপাতত যাহা আমাদের পুষ্টির পক্ষে প্রয়োজন সেই দিকে মন দিতে হইবে, গৌরবের কথা পরে ভাবা যাইবে । তা ছাড়া, আর একটি কথা বলিবার আছে। বিজ্ঞানের কূটতত্ত্ব ও কঠিনসমস্যা লইয়া নাড়াচাড়া করিলেই যে উদ্ভাবনী শক্তি বাড়ে তাহা নহে । প্রকৃতির সঙ্গে পরিচয়, ভাল করিয়া দেখিতে শেখাই, বিজ্ঞানসাধকের মুখ্য সম্বল। বিজ্ঞানপাণ্ডিত্যে যাহারা যশস্বী হইয়াছেন, তাহারা যে বিদ্যালয়ে অত্যন্ত কঠিন পরীক্ষা দিয়া বড় হইয়াছেন তাহ নহে । У 8. o