পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অস্তরনিকেতনের মধ্যে প্রবেশ করিবে । তোমাদিগকে স্মরণ করিয়া যতক্ষণ আমাদের বিনয় না জন্মিয়া গর্বের উদয় হয়, কৰ্ম্মের চেষ্টা জাগ্রত না হইয়া সস্তোষের জড়ত্ব পুঞ্জীভূত হইতে থাকে, এবং ভবিষ্যতের প্রতি আমাদের উদ্যম ধাবিত না হইয়া অতীতের মধ্যে সমস্ত চিত্ত আচ্ছন্ন হইয়া লোপ পায়, ততক্ষণ আমাদের মুক্তি নাই । আচাৰ্য্য জগদীশ আমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছেন। তিনি বিজ্ঞানরাজ্যে যে পথের সন্ধান পাইয়াছেন, সে পথ প্রাচীন ঋষিদিগের পথ— তাহা একের পথ। কি জ্ঞানে বিজ্ঞানে, কি ধৰ্ম্মে কৰ্ম্মে, সেই পথ ব্যতীত “নান্তঃ পন্থা বিদ্যতে আয়নায় ।” কিন্তু আচাৰ্য্য জগদীশ যে কৰ্ম্মে হাত দিয়াছেন, তাহা শেষ করিতে তাহার বিলম্ব আছে। বাধাও বিস্তর। প্রথমত, আচার্য্যের নূতন সিদ্ধান্ত ও পরীক্ষার দ্বারা অনেকগুলি পেটেণ্ট, অকৰ্ম্মণ্য হইয়া যাইবে এবং একদল বণিকসম্প্রদায় তাহার প্রতিকূল হইবে । দ্বিতীয়ত, জীবতত্ত্ববিদগণ জীবনকে একটা স্বতন্ত্র শ্রেষ্ঠ ব্যাপার বলিয়া জানেন, তাহাদের বিজ্ঞান যে কেবলমাত্র পদার্থতত্ত্ব, এ কথা তাহারা কোনমতেই স্বীকার করিতে চাহেন না। তৃতীয়ত, কোন কোন মূঢ় লোকে মনে করেন যে, বিজ্ঞানস্বারা জীবনতত্ত্ব বাহির হইলে ঈশ্বরের অস্তিত্ব বিশ্বাস করিবার প্রয়োজন থাকে না, তাহারা পুলকিত হইয়াছেন। র্ত্যহাদের ভাবগতিক দেখিয়া খৃষ্টান বৈজ্ঞানিকের তটস্থ, এজন্য অধ্যাপক কোন কোন বৈজ্ঞানিকের সহানুভূতি হইতে বঞ্চিত হইবেন । সুতরাং একাকী তাহাকে অনেক বিপক্ষের সহিত যুদ্ধ করিতে হইবে । அந்: তবে, যাহারা নিরপেক্ষ বিচারের অধিকারী, তাহারা উল্লসিত হইয়াছেন। তাহারা বলেন, এমন ঘটনা হইয়াছে যে, যে সিদ্ধাস্তকে রয়াল সোসাইটি প্রথমে অবৈজ্ঞানিক বলিয়া পরিহার করিয়াছিলেন, כ\ x צ