পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুই মহল থেকেই জুটত। আমার অঙ্কুশীলনের মধ্যে বিজ্ঞানের অংশ বেশি ছিল না, কিন্তু ছিল তা আমার প্রবৃত্তির মধ্যে । সাহিত্য সম্বন্ধে র্তার ছিল অতুরূপ অবস্থা । সেই জন্তে আমাদের বন্ধুত্বের কক্ষে হাওয়া চলত দুই দিকের দুই খোলা জানলা দিয়ে। র্তার কাছে আর একটা ছিল আমার মিলনের অবকাশ যেখানে ছিল তার অতি নিবিড় দেশপ্রীতি । প্রাণ পদার্থ থাকে জড়ের গুপ্ত কুঠুরিতে গা ঢাকা দিয়ে। এই বার্তাকে জগদীশ বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে পাকা করে গেঁথে দেবেন, এই প্রত্যাশা তখন আমার মনের মধ্যে উন্মাদনা জাগিয়ে দিয়েছিল— কেননা ছেলেবেলা থেকেই আমি এই ঋষিবাক্যের সঙ্গে পরিচিত— · “যদিদং কিঞ্চ জগৎ প্রাণ এজতি নিঃস্থতং”, “এই बा কিছু জগৎ, যা কিছু চলছে, তা প্রাণ থেকে নিঃস্থত হয়ে প্রাণেই কম্পমান ।” সেই কম্পনের কথা আজও বিজ্ঞানে বলছে । কিন্তু সেই স্পন্দন যে প্রাণম্পন্দনের সঙ্গে এক, এ কথা বিজ্ঞানের প্রমাণভাণ্ডারের মধ্যে জমা হয় নি। সেদিন মনে হয়েছিল আর বুঝি দেরি নেই। তার পরে জগদীশ সরিয়ে আনলেন তার পরীক্ষাগার জড়রাজ্য থেকে উদ্ভিদরাজ্যে, যেখানে প্রাণের লীলায় সংশয় নেই। অধ্যাপকের যন্ত্রউদ্ভাবনী শক্তি ছিল অসাধারণ। উদ্ভিদের অন্দরমহলে ঢুকে গুপ্তচরের কাজে সেই সব যন্ত্র আশ্চর্য নৈপুণ্য দেখাতে লাগল। তাদের কাছ থেকে নতুন নতুন খবরের প্রত্যাশায় অধ্যাপক সর্বদা উৎকণ্ঠিত হয়ে থাকতেন। এ পথে তার সহযোগিতার উপযুক্ত বিদ্যা আমার না থাকলেও তবুও আমার অশিক্ষিত কল্পনার অত্যুৎসাহে তিনি বোধ হয় সকৌতুক আনন্দ বোধ করতেন। কাছাকাছি সমজদারের জানাগোনা ছিল না ; তাইআনাড়ি দরদীর অত্যুক্তিমুখর ঔংস্থক্যেও সেদিন তার প্রয়োজন ছিল। স্বহনের প্রত্যাশাপূর্ণ শ্রদ্ধার মূল্য বাই খাৰু, গমস্থানের উজান পৰে >总●