পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট ও ১ মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্য-বাছাছুরকে লিখিত ...জগদীশবাবুর সেই টাকা আমার নিকট পাঠাইলে আমি আনন্দসহকারে যথাস্থানে যথাসময়ে পাঠাইয়া দিব । ইতিমধ্যে দিন দুয়েকের জন্য কলিকাতায় গিয়াছিলাম— সেখানে জগদীশবাবুর সহিত অনেক আলাপ-আলোচনা হইল। তিনি সম্প্রতি বিলাতের পণ্ডিতদের নিকট হইতে মহোৎসাহপূর্ণ যে সমস্ত পত্র পাইয়াছেন তাহ পাঠ করিয়া পুলকিত হইয়াছি। তাহারা লিখিয়াছেন– “আপনার নূতন আবিষ্কারগুলি পরমাশ্চর্যজনক ’... ২১ বৈশাখ ১৩০৭ ২ ঠাকুর মহিমচন্দ্র দেববর্মাকে লিখিত “আমি ভাবিলাম তোমরা রাজপারিষদ । লোকের সাধু উদ্দেতে তোমাদের বিশ্বাস নাই— সকলকেই তোমরা সন্দেহচক্ষে দেখ— মহারাজের স্বাভাবিক ঔদার্ষ্যকে তোমরা আচ্ছন্ন করিয়া আছ । বস্তত: মহারাজের মত লোকের সহিত সংশ্রব রাখিলেই সাধারণ লোকে সন্দেহের চক্ষেই দেখে । সাধারণের কাছে আমার প্রতিপত্তি আছে— আমি স্বার্থপর ভাবে ভিক্ষুভাবে মহারাজের দ্বারে গমনাগমন করি এ অপবাদ গ্রহণ করিতে সঙ্কোচ বোধ করি । মহারাজ আমাকে মাস্তবন্ধুভাবে দেখিয়া তদনুরূপ ব্যবহার করিতে নিজে স্বভাবতঃই ইচ্ছুক কিন্তু শুনিতে পাই তোমরা তাহাতে বাধা দিয়া তাহাকে স্থদূরে রাখিতে চেষ্টা ఇ3