পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্য-বাহাদুরকে লিখিত বিপুলসম্মানপুরঃসর নিবেদন— অনেকদিন পরে মহারাজের পত্র পাইয়া আনন্দিত হইয়াছি। মহারাজের সহিত আমি এমন কোন সম্বন্ধ রাখিতে ইচ্ছা করি না যাহাতে লোকে স্বার্থসিদ্ধির অপবাদ দিতে পারে । আমার সাধ্য যৎসামান্য হইলেও, এবং উদ্দেশু লোকহিতকর হইলেও, যে কাজ নিজের হাতে লইয়াছি সে সম্বন্ধে মহারাজের নিকট হইতে আর্থিক সহায়তা লইব না ইহা আমি স্থির করিয়াছি । কষ্ট এবং ত্যাগ স্বীকার ব্যতীত কোন মহৎ কৰ্ম্মের মূল্য থাকে ন— আমার যতদূর সাধ্য আছে বঙ্গদর্শন পরিচালনায় তাহার সীমা অতিক্রম করিলেই গৌরব লাভ করিব। এবারে জগদীশবাবুর পত্র পড়িয়া এই বিষয়ে আমি মনে মনে বল লাভ করিয়াছি— জগদীশবাবুর প্রতিভায় পাণ্ডিত্য এবং সহৃদয়তার আশ্চৰ্য্য মিলন হইয়াছে বলিয়া এ সকল ব্যাপারে তাহার মত আমার কাছে সৰ্ব্বা গ্রগণ্য । তিনি লিখিয়াছেন :– ‘তুমি পুনরায় সম্পাদকের ভার লইয়া তোমার সময় নষ্ট কৰিrব মনে করিয়া প্রথম প্রথম দুঃখিত হইয়াছিলাম। তারপর দুই সংখ্যা বঙ্গদর্শন পাইয়। অতিশয় সুখী হইয়াছি । আর, সমস্ত লেখাতে একটি নূতন ভাব দেখিয়া অতিশয় আশান্বিত হইয়াছি। এতদিন পরে যদি আমাদের চক্ষের আবরণ ঘুচিয়া যায় এবং আমরা আমাদের প্রকৃত মচুন্যত্ব বুঝিতে পারি, তাহ অপেক্ষ আর কিছুই অভিপ্রেত হইতে পারে না । তোমার আকাঙ্ক্ষা যেন ভারতবর্ধময় ব্যাপ্ত হয়। আর, তুমি যে সব দুরূহ প্রতিজ্ঞা করিয়াছ তাহা যেন রক্ষা করিতে সমর্থ হও ! আমার সর্বাপেক্ষা ক্ষোভ এই যে, আমাদের প্রকৃত গৌরব ভুলিয়া মিথ্যা আড়ম্বর লইয়া ভুলিয়া আছি । এখন এ সব দেশ ভাল చీఫి