পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট ৪ প্রশ্নোত্তর প্রশ্ন : ভাণ্ডার-সম্পাদক আমাদের দেশের শিক্ষার অাদর্শ এখনকার অপেক্ষা দুরূহতর ও পরীক্ষা কঠিনতর করা ভাল কি মন্দ ? উত্তর : ক্রযুক্ত জগদীশচন্দ্র বস্থ {"ক্ষার অাদর্শ দুরূহুতর ও পরীক্ষা কঠিনতর করা সম্বন্ধে “ভাণ্ডারে” যে প্রশ্ন তোলা হইয়াছে, আমি কেবল বিজ্ঞানের পক্ষ হইতে সংক্ষেপে তাহার উত্তর দিব । এ কথা সকলেই জানেন যে, আমাদের দেশে শিক্ষিতদের মধ্যেও বিজ্ঞান-চর্চা তেমন করিয়া ছড়াইয়া পড়ে নাই । দেশী ভাযায় সাহিত্যের যেমন উন্নতি হইয়াছে, বিজ্ঞানের তেমন হয় নাই, ইহা তাহার একটি 2 히 | এমন স্থলে এ দেশের য়ুনিভার্সিটিকে এ দেশের অবস্থা ও অভাব বিশেষভাবে বিচার করিয়া কাজ করিতে হইবে, তাহাতে সন্দেহ নাই – অন্য দেশের অন্তকরণ করিতে গেলে, সে দেশের লোক যে ফল পাইতেছে তাহাও পাইব না, আমরা যে ফল আশা করিতে পারিতাম তাহা হইতেও বঞ্চিত হইব। ষে ব্যক্তি চলিতে শিখিলেই আপাতত খুসি হওয়া যায়, তাহাকে একদমে লাফ দিতে শিথাইতে হইবে এমন পণ করিয়া বসিলে, লাফ দেওয়া ত হইবে না, মাঝে হইতে চলাই দুর্ঘট হইবে । দেশে যাহার একটা নূতন ব্যবসা চালাইতে চায়, তাহারা কি উপায় গ্রহণ করে ? ভারতবাসীদের মধ্যে চায়ের ব্যবসা জাকাইয়া তুলিবার פ9\ x