পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ও রবীন্দ্রনাথের সহিত এ বিষয়েও তাহার আলোচনা চলিত। অক্ষয়কুমার রাজসাহী শিল্পবিদ্যালয়ের একজন প্রধান উদযোক্তা ছিলেন, এই বিদ্যালয় হইতে রেশমের কাপড় কিনিয়া রবীন্দ্রনাথ নিজে ব্যবহার করিতেন, বন্ধুদেরও উপহার দিতেন— ‘বন্ধুদের নিকট আমার এই সকল বস্ত্র উপহার কেবল আমার উপহার নহে তাহা স্বদেশের উপহার "২ রবীন্দ্রনাথও এই সময় পল্লীর উন্নতিকল্পে নানা কল্পনায় ও পরীক্ষায় উৎসুক, সেই সূত্রেই রেশমের গুটি'র অভ্যাগম । পত্র ৩ । লরেন্স । শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথের পুত্রকন্যাদের গৃহশিক্ষকও, পরে শান্তিনিকেতনেও অধ্যাপক ছিলেন। এক পাগলা মেজাজের চালচুলোহীন ইংরেজ শিক্ষক হঠাৎ গেল জুটে । তার পড়াবার কায়দা খুবই ভালো, আরো ভালো এই যে কাজে ফাকি দেওয়া তার ধাতে ছিল না।’ রেশমের চাষ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ আরও বলেন— ‘লরেন্সকে পেয়ে বসল রেশমের চাষের নেশায় । শিলাইদহের ১ রবীন্দ্রনাথকে লিখিত অক্ষয়কুমারের পত্র, ৯ সেপ্টেম্বর ১৮৯৮, বিশ্বভারতী পত্রিক, বৈশাখ-আষাঢ় ১৩৬৩, পৃ ২৬৭ ২ মহিমচন্দ্র ঠাকুরকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের পত্র, ৩১ চৈত্র ১৩•৫। রবীন্দ্রস্থতি পূৰ্ব্বশ ( ১৩৪৮ ], * い・い ও ‘আমাদের শান্তিনিকেতনের বেডিং বিদ্যালয়ে রন্ধীকে পড়াইব, সেইজন্ত লরেন্সকে অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বিদায় দিতে হইতেছে। যদি তোমাদের আগরতলায় ঠাকুরদের স্কুলে তাহাকে ইংরাজি অধ্যাপক নিযুক্ত কর তবে তোমাদেরও উপকার তাইগ্নিও উপকার। এরূপ সুযোগ জায় পাইবে না। লরেন্স পড়াইবার বিস্তা যেমন জানে এমন অল্প লোককেই দেখিয়াছি। ও আমাকে এখনও ছড়িতে চায় না কিন্তু উপায় দেখি না।. ১৮ই ভাত্র ১৩০৮ –মহিমচন্দ্র ঠাকুরকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের পত্র, রবীন্দ্রস্তুতি পূৰ্ব্বাশ', পু ১.৮ ৪ রবীন্দ্রনাথ, আশ্রমের রূপ ও বিকাশ, ৭ পৌষ ১৩৪৮ সংস্করণ, পৃ s• 〉や>