পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ও জানলে তখনকার দিনে এ মালের কাটতি অল্প, তার দাম সামান্ত । বন্ধ হল ভেরেও পাতার অনবরত গাড়ি-চলাচল, অনেকদিন পড়ে রইল ছালাভরা গুটিগুলো ; তার পরে তাদের কী ঘটল তার কোনো হিসেব আজ কোথাও নেই। সেদিন বাংলাদেশে এই গুটিগুলোর উৎপত্তি হল অসময়ে ।” দেশীয় শিল্পের পুনঃপ্রবর্তনের এই চেষ্টায় “প্রচুর ব্যয় ও অক্লান্ত অধ্যবসায়” রবীন্দ্রনাথের পক্ষ হইতে কী পরিমাণ যুক্ত হইয়াছিল তাহার কথা এই বিবরণে উল্লিখিত হয় নাই । রবীন্দ্রনাথকে লিখিত জগদীশচন্দ্রের ২৫ এপ্রিল ১৮৯৯ তারিখের পত্রে দেখা যায়, তিনিও, সম্ভবতঃ রবীন্দ্রনাথের উৎসাহেই, এই সময় রেশমের কীট -পালনে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। পত্র ৩ । “চাষ-বাসের কাজ ।” এই পত্র লিখিবার কিছুকাল পূর্ব হইতে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে পৈতৃক জমিদারিতে বাস করিতেছিলেন। ইহারও পূর্বে, জমিদারি-পরিচালনার ভার গ্রহণ করিয়া, ‘দুঃখপীড়িত অটলবিশ্বাসপরায়ণ অনুরক্ত প্রজাদের’ যেন আমার একটি দেশজোড়া বৃহৎ পরিবারের লোক’ বলিয়া তিনি অনুভব করিতেছিলেন, ‘এই সমস্ত নিঃসহায় নিরুপায় নিতাস্তনির্ভরপর সরল চাষাভূযোদের অক্ষম অবস্থা তাহার মনকে আন্দোলিত করিতেছিল। ১ – রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘকাল ধরিয়া বারংবার বিফলকাম ১ পূর্বোক্ত— আশ্রমের রূপ ও বিকাশ, পৃ ৪১-৪৩ ৷ ১ ছিন্নপত্র গ্রন্থে ২১ আগস্ট ১৮৯৩ তারিখের পত্র। অপিচ ১৯ মে ১৮৯৩ তারিখের পত্রে দ্রষ্টব্য— “আমার এই দরিদ্র গধী প্রজাগুলোকে দেখলে আমার ভাঙ্কি মায়া করে, এরা যেন বিধাতায় শিশুসন্তানের মত নিরুপায়। তিনি এদের মুখে নিজের ছাতে কিছু ভুলে মা ১৬৩