পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ৫ করিয়াছিলেন প্রধানতঃ রবীন্দ্রনাথ ; জগদীশচন্দ্রের প্রতি আহুকুল্যবিধানের জন্ত মহারাজকে রবীন্দ্রনাথ যেরূপ বারংবার প্রবর্তিত করিয়াছেন সে কথা, রবীন্দ্রনাথের যে চিঠিগুলি এইখণ্ডে মুদ্রিত হইয়াছে তাহাতেই প্রকাশ। ত্রিপুরার মহিমচন্দ্র দেববর্ম এই প্রসঙ্গে লিখিয়াছেন— ‘একবার কলিকাতায় প্রেসিডেন্সি কলেজে বিজ্ঞানাচাৰ্য্য জগদীশচন্দ্র, রবিবাবু প্রভৃতি বন্ধুদিগকে স্বীয় গবেষণার ফলাফল দেখাইবার বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন। তখনো রাধাকিশোরের সহিত জগদীশবাবুর সাক্ষাৎ পরিচয় ছিল না । •••১৯০০ খৃঃ অব্দের বিষয় । -- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় আমাকে জানিতে দিয়াছিলেন, “...যদি তুমি পার উপস্থিত হইও।”. মহারাজ এ খবর পাইয়া বিনা নিমন্ত্রণে উক্ত কলেজের বিজ্ঞানাগারে যথাসময়ে উপস্তিত হইয়া সকলকে চমৎকৃত করিয়া দিয়ছিলেন ।••• রবিবাবু মহারাজকে দেখিয়া পুলকিত হইলেন এবং আচাৰ্য্য জগদীশ বসুর সহিত পরিচিত করিয়া দিলেম --- তারপর একদিন রবিবাবুর তলবে জগদীশবাবুর গৃহে উপস্থিত হইয়া জানিতে পারিলাম, প্রাইভেট কার্য্যে কলেজের বিজ্ঞানাগার ব্যবহার করা কর্তৃপক্ষের অভিপ্রেত নহে। রবিবাবু ইহাতে মৰ্ম্মাস্তিক বেদন অনুভব করিলেন ; বিশেষতঃ বুঝিলেন, জগদীশবাবুর নিজের বিজ্ঞানাগার না হইলে তাহার বিজ্ঞানের নূতন তথ্য আবিষ্কারের পথ চিরতরে বন্ধ হইয়া যাইবে । পরামর্শ হইল ২০,০০০ হাজার টাকা সংগ্ৰহ করিতে হইবে, ১০,০০০ হাজার টাকা রবিবাবু নিজে আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধবদের নিকট হইতে সংগ্ৰহ করিবেন, বাকি টাকার জন্য ত্রিপুর রাজ দরবারে ভিক্ষা করিতে উপস্থিত হইবেন। মহারাজ রাধাকিশোর তখন কলিকাতায় উপস্থিত ছিলেন। কবিকে ভিক্ষুকবেশে আসিতে দেখিয়া >bro