পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-পত্র ১১ লিখিতেছেন— ‘বঙ্কিমের বঙ্গদর্শনের পুনঃপ্রকাশের সংবাদ অতি সুসংবাদ । •••আমার মতে আপনি অগোঁণে ও অবিচারিত চিত্তে ইহার সম্পাদকীয় ভার গ্রহণ করুন এবং আমাকে কি কি করিতে হইবে বলুন । আমি সৰ্ব্বতোভাবে ইহার ভার গ্রহণ করিতে প্রস্তুত রহিলাম।” রবীন্দ্র-সম্পাদিত বঙ্গদর্শন সম্বন্ধে জগদীশচন্দ্র যাহা লিথিয়াছিলেন রাধাকিশোর মাণিক্যকে লিখিত এক পত্রে রবীন্দ্রনাথ তাহ উদদ্ভুত করিয়াছেন ॥১ পত্র ১১। ‘পৃথিবীকে সৰ্ব্বত্র চিমটি কাটবার যে উপায়. বের করেছ। কৃত্রিম চক্ষুর উপর বৈদ্যুতিক তরঙ্গ পড়িলে তাহাতে যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ বহিতে থাকে তাহার মূলে আছে এই চক্ষুর ভিতরকার পদার্থের আণবিক পরিবর্তন ; জগদীশচন্দ্রের এই মত যখন জয়যুক্ত হইল তখন তিনি স্থির করিলেন যে, আণবিক পরিবর্তন অন্য রকম উত্তেজনায়ও হইতে পারে, আর তাহাও সাড়ারূপে দেখা দিবে। তিনি জড়ের উপর মাদকদ্রব্য, ক্লোরোফরম্ প্রভৃতি উত্তেজক পদার্থ প্রয়োগ করিলেন, তজ্জনিত সাড়া লিপিবদ্ধ করিবার ব্যবস্থা করিলেন । জড়কে ‘চিমটি কাটিলেন, অবশ্য যন্ত্রের সাহায্যে ; চিমটির পরিমাণ ও তীব্রতা মাপিবারও ব্যবস্থা করিলেন– অনুরূপ সাড়া পাইলেন । এমন সব যন্ত্র তিনি নির্মাণ করিলেন যাহা চালাইলে জড় উদ্ভিদ ও প্রাণীর সাড়ালিপি আপনা হইতে লিপিবদ্ধ হইতে থাকে । তিনি দেখাইলেন যে, একথও টিন, একটি গাছের ডগা, ব্যাঙের একটি পেশী বাহিরের ১ বর্তমান গ্রন্থ, পৃ ১৩২-৩৩ 28