পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের দেশীয় কোন বিখ্যাত কাগজে বলবে, আমরা বড় কম লোক নই ; অন্ত কাগজে বলবে, আমরা বিজ্ঞানে নব নব তথ্য আবিষ্কার করুচি ;– এদিকে আপনার জন্তে কারো সিকি পয়সার মাথাব্যথা নেই, কিন্তু যখন জগৎ থেকে যশের ফসল ঘরে আনবেন তখন আপনি আমাদের – চাষের বেলা আপনি এক, লাভের বেলা আমরা সবাই ; অতএব আপনি জয়ী হ’লে আপনার চেয়ে আমাদেরই জিৎ। আপনি ‘ক’ বিন্দুতে কম্পমান, আমি ‘খ’ বিন্দুতে দিব্য নিশ্চেষ্ট নিরুদ্বিগ্ন হ’য়ে ব’সে আছি— আমার চারিদিকে আমন ধান এবং আখের ক্ষেত আসন্ন শরতের শিশিরাক্ত বাতাসে দোহুল্যমান। শুনে আশ্চৰ্য্য হবেন, একখানা Sketch book নিয়ে বসে বসে ছবি অঁাকচি। বলা বাহুল্য, সে-ছবি আমি প্যারিস সেলোন-এর জন্যে তৈরী করচিনে, এবং কোন দেশের ন্যাশন্তাল গ্যালারী যে এগুলি স্বদেশের ট্যাক্স বাড়িয়ে সহসা কিনে নেবেন এরকম আশঙ্কা অামার মনে লেশমাত্র নেই। কিন্তু কুৎসিত ছেলের প্রতি মার যেমন অপূৰ্ব্ব স্নেহ জন্মে তেমনি যে বিদ্যাটা ভাল আসে না সেইটের উপর অস্তরের একটা টান থাকে । সেই কারণে যখন প্রতিজ্ঞা করলুম, এবারে ষোল আন কুঁড়েমিতে মন দেবে। তখন ভেবে ভেবে এই ছবি আঁকাটা আবিষ্কার করা গেছে । এই সম্বন্ধে উন্নতি লাভ করবার একটা মস্ত বাধা হয়েছে এই যে, যত পেন্সিল চালাচ্ছি তার চেয়ে ঢের বেশী রবার চালাতে Եր