পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ২s চক্ষে ধারা বহিতেছিল, এই সময় রবীন্দ্রনাথেরও চক্ষে ধারা বহিতে লাগিল । আমি তাহার অশ্রুপাত দেখিয়া যেন একটু আশ্বস্ত হইলাম । র্তাহার সেই নিশ্চল গম্ভীর ভাব ও শোকপূর্ণ অবস্থা দেখিয়া মনে বড় আতঙ্ক জন্মিতেছিল। সেইদিনই গাড়িতে বোলপুর চুলিয়া যাওয়া স্থির হইল।. গাড়ি সাহেবগঞ্জ স্টেশনে পৌছিতেই মাতুল মহাশয় ট্রেনের নিকট খাবার লইয়া উপস্থিত হইলেন।. তিনি [ রবীন্দ্রনাথ ] মাতুল মহাশয়ের সহিত আলাপ করিতে লাগিলেন। র্তাহার সহিত পূর্ব হইতেই জানা শুনা ছিল । কিছুক্ষণ পরে আমি মাতুল মহাশয়কে চুপে চুপে মুঙ্গেরের সমস্ত দুর্ঘটনার কথা জানাইলাম। তিনি শুনিয়া স্তম্ভিত হইয়া গেলেন । র্তাহার সহিত আলাপ করিবার সময় তিনি কিছুই টের পান নাই যে এত বড় একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়া গিয়াছে। রবীন্দ্রনাথ স্বাভাবিক স্মিতমুখেই তাহার সহিত আলাপ করিতেছিলেন।... [ শাস্তিনিকেতনে ] পরদিন বেলা হইলে আমাকে ডাকিয়া পাঠাইলেন।. একটু কথা কহিতে গিয়াই তাহার নেত্র আর্দ্র হইয়া আসিল, কণ্ঠস্বরও যেন বাহির হইতেছিল না।... দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় মধ্যে মধ্যে আসিয়া কিছু বলিতে না পারিয়া কেবল র্তাহার পিঠটিতে হাত বুলাইতে লাগিলেন আর মধ্যে মধ্যে ‘রবি, রবি' এই শব্দ করিতে লাগিলেন। সে দৃশুটি বড় করুণাপূর্ণ।” এই সময়ে শাস্তিনিকেতনের ভূতপূর্ব অধ্যাপক মনোরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুইখানি পত্রে রবীন্দ্রনাথ এরূপ লিখিয়াছিলেন— ‘যে সংবাদ শুনিয়াছেন তাহা মিথ্যা নহে। ভোলা [ ঐশচত্রের ১ অপিচ দ্রষ্টব্য ৰত্নীগ্রনাথ মুখোপাধ্যায় -রচিত “রবীন্দ্র স্মৃতি” প্রবন্ধের কবিপুত্ৰ अधैौठ ब५Jब्र, cनच, २७ थांग१ २०8* २>**