পাতা:চিঠিপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড ১৯৯৩)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এর বিকাশ হ’তে চলল । জীবনের ভিতর দিয়েই জীবনের উদ্বোধন হয়— তোমার প্রাণের সামগ্রীকে তুমি আমাদের দেশের প্রাণের সামগ্ৰী ক’রে দিয়ে যাবে— তার পর থেকে সেই চিরন্তন প্রাণের প্রবাহে আপনিই সে এগিয়ে চলতে থাকবে । কতবার আমরা নানা মিথ্যার সঙ্গে জড়িয়ে কত মিথ্যা জিনিষের স্মৃষ্টি করেচি– তার উপরে অজস্র টাকা বৃষ্টি ক’রেও তাদের বঁাচিয়ে তুলতে পারিনি। কেবল মাত্র অভিমান দিয়ে ত কোনো সত্য বস্তু আমরা স্বজন করতে পারিনে । কিন্তু এ যে তোমার চিরদিনের সত্য সাধনা— এর মধ্যে তুমি যে আপনাকে দিয়েচ, আপনাকে পেয়েচ– তুমি যে মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষির মত তোমার মন্ত্রকে তোমার অস্তরে প্রত্যক্ষ দেখতে পেয়েচ, এইজন্তে বাইরে তাকে প্রকাশ করবার পূর্ণ অধিকার ঈশ্বর তোমাকে দিয়েচেন । সেই অধিকারের জোরে আজ তুমি একলা দাড়িয়ে তোমার মানসপদ্মের বিজ্ঞান-সরস্বতীকে দেশের হৃদয়-পদ্মের উপরে প্রতিষ্ঠিত করচ । তোমার মন্ত্রের গুণে, তোমার তপস্যার বলে— দেবী সেই আসনে অচলা হবেন, এবং প্রসন্ন দক্ষিণ হস্তে র্তার ভক্তদের নব নব বর দান করতে থাকবেন । দেশে ফেরবার জন্যে মন ব্যাকুল হ’য়ে রয়েচে । এখানকার কাজ শেষ হ’তে কতদিন লাগবে জানিনে । কিন্তু এইরকম উৰ্দ্ধশ্বাসে লাটিমের মত ঘুরে বেড়াতে আর পারিনে। তোমার রবি Sét Ց Տ