পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯ জানুয়ারি ১৯ • ৯ কল্যাণীয়াসু o মাতঃ, আমি প্রায় অত্যন্ত ব্যস্ত থাকি বলে তোমাদের চিঠির উত্তর দিতে পারি না— আমার সময় নিতান্তই কম। আমি জানিনে আমি তোমাকে এমন কি উপদেশ লিখে পাঠাতে পারি যা গ্রহণ করে তোমার মন আশ্রয় লাভ করতে পারে। বাইরে থেকে বেশি কিছু দেওয়া যায় না— ভিতরের জিনিষকে ভিতরেই লাভ করতে হয় । তোমার মধ্যে যে অন্তর্যামী রয়েছেন তিনি ত কেবল তোমার পৃথিবীর সামগ্রী নন, তিনি তোমার চিরজীবনের সঙ্গী। তিনিই তোমাকে লোকে লোকান্তরে নব নব জীবনের পথে নিয়ে যাবেন । সমস্ত সুখ দুঃখের উদ্ধে র্তাকে অনুভব কর— তার পায়ে সমস্ত চিত্তকে অবনত করে সমর্পণ কর— ছঃখকে তার দান বলে গ্রহণ কর— সেই চিরবন্ধুর দিকে চাও। এ ছাড়া আমি তোমাকে আর কি বলতে পারি ! হৃদয় যখন চঞ্চল সংসারে যখন তরঙ্গ তখনো মনে রেখে সেই কাণ্ডারী হাল ধরে রয়েছেন – সমস্ত তুফানের উপর দিয়ে তিনি বন্দরে নিয়ে চলেছেন । #. তোমার জীবনের সমস্ত দুঃখ চাঞ্চল্য র্তার দিকেই তোমাকে প্রবলভাবে নিয়ে গিয়ে একান্তভাবে তার প্রতিই তোমাকে সমর্পণ У о S 8 (?