পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و ه نة لا أدى هة কল্যাণীয়াসু আমার নববর্ষের আশীৰ্ব্বাদ গ্রহণ করিবে । সংসারক্লিষ্ট হৃদয়ের শান্তির জন্য ঈশ্বরের অনুগ্রহ ছাড়া আর কোনো উপায় নাই । ইহা নিশ্চয় জানিয়ো সুখ দুঃখ বাহিরের ঘটনার উপরে সম্পূর্ণ নির্ভর করে না— বাহিরের ঘটনা অতি ক্ষুদ্র উপলক্ষ্য মাত্র— ঈশ্বর যাহার অন্তঃকরণে সুখী হইবার শক্তি দেন সেই জীবন হইতে জগৎ হইতে সুখ লাভ করিতে পারে । আমি অনেক লোককে জানি যাহারা সুখকর সমস্ত উপকরণদ্বারা বেষ্টিত কিন্তু চিরজীবন সুখ অনুভব করিল না। দূর হইতে উপদেশ দেওয়া সহজ— কিন্তু আমি জানি অন্তঃপুরের সঙ্কীর্ণ অধিকারের মধ্যে জীবন যখন সৰ্ব্বদা সঙ্কুচিত হইয়া থাকে তখন জগৎ হইতে রস আকর্ষণ করা অত্যন্ত কঠিন । কিন্তু জীবন যখন পাইয়াছ, বাচিতেই যখন হইবে তখন নিজের সঙ্কীর্ণ অবস্থার উদ্ধে অনন্ত আকাশের মধ্যে মাথা তুলিতেই হইবে— আলো পাইতেই হইবে, মুক্তবায়ুর মধ্যে আত্মাকে বিস্তৃত করিতেই হইবে । বাহিরের প্রতিকূলতা যতই কঠিন অন্তরের শক্তিকে ততই প্রাণপণ বলে উদ্বোধিত করিতে হইবে । তোমার চারিদিকে যেটুকু লেশমাত্র মুখ যেটুকু কণামাত্র আনন্দ আছে তাহঁকেই মনের সম্মুখে রাখ— বল “আনন্দং পরমানন্দম্।।” পরাভূত হইয়ো না— দুঃখকে সৰ্ব্বদা দুঃখ We