পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাশ দিয়েই শত শত পুণ্যকামী বিশেষ স্থানে জলে ডুব দিয়ে শুচি হবার জন্য চলেছে। তাদের মধ্যে কেউ পীড়িত মানুষকে ছুল না। সেই অজ্ঞাতকুলশীল পীড়িত মানুষের সামান্য মাত্র সেবা করলে তারা অশুচি হত, শুচি হবে জলে ডুব দিয়ে।. একজন প্রাচীন অধ্যাপক আমাকে বললেন, তার গ্রামের পথে ধূলিশায়ী আমাশয় রোগে-পীড়িত একজন বিদেশী পথিককে তিনি হাটের টিনের চালার নীচে স্থান দিতে অকুরোধ করেছিলেন । যার সেই চাল! সে বললে, পারব না। তিনিও লজ্জার সঙ্গে স্বীকার করলেন যে, তিনিও সমাজের দণ্ডের ভয়েই তাকে আশ্রয় দিতে পারেন নি। অর্থাৎ মামুষের প্রতি মানুষের কর্তব্যসাধন শাস্তির যোগ্য । তিনি হোমিওপ্যাথি জানতেন, পথের ধারেই তাকে কিছু ওষুধপত্র দিয়েছিলেন । আরোগ্যের দিকে যাচ্ছিল, এমন সময় রাত্রে শিলাবৃষ্টি হল ; পরদিন সকালে দেখা গেল, সে মরে পড়ে আছে। পাপপুণ্যের বিচার এতবড়ো বীভৎসতায় এসে ঠেকেছে ৷ ” —৭ পৌষ ১৩৩৯ পত্র ২২, ২৪-৩০ । ১৩১৮ ( ১৯১১ ) সাল হইতে রবীন্দ্রনাথের বিদেশযাত্রার কয়েকবার প্রস্তাব হয়, নানা কারণে কয়েকবার সে প্রস্তাব স্থগিত থাকে, অবশেষে ১৩১৯ সালের জ্যৈষ্ঠ মাসে ( ১৯১২ মে ) তিনি বিলাতযাত্র করেন। এই প্রসঙ্গ এই কয়খানি চিঠিতে উল্লিখিত । পত্র ৩৭ । পৃ ৬৯ । ‘কলিকাতার সভায় বক্তৃতা’ । বঙ্গীয়-হিতসাধনমণ্ডলীর উদবোধন-সভায় বক্তৃতা, কর্মযজ্ঞ’, রবীন্দ্র-রচনাবলী ২৪ । পত্র ৬২ । পৃ ৯৩। নির্ঝরিণী=নির্ঝরিণী সরকার । পত্র ৭৬। পৃ ১০৬। মণিলাল = মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়। ১ কালান্তর, নবযুগ’ । סיל כי