পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লইয়া অধিক কিছু বলিলে কঠোরতা করা হয়। কিন্তু আমার নিজের মেয়েকেও আমি এই আত্মধ্যান এবং আত্মকরুণার অনিষ্টকরতা সম্বন্ধে সচেতন করিতে সঙ্কোচ করিন৷ অতএব আমার বাক্যগুলিকে অনাবশ্যক নিৰ্ম্মম বলিয়া মনে করিও না । আমি সম্ভবত ভাদ্রমাসের আরম্ভে অথবা মাঝামাঝি বোলপুরে ফিরিব। সেই সময়ে ইন্দুকে বোলপুরের কাজে নিযুক্ত করিবার ব্যবস্থা করিব। সে যদি উপযুক্ত কাজের মধ্যে ব্যাপৃত হইতে পারে তাহা হইলে নিঃসন্দেহই নিজেকে দীনাত্মা বলিয়া মনে করিবে না— প্রত্যেক মানুষকেই ঈশ্বর যে মাহাত্ম্য দান করিয়াছেন তাহা উপলব্ধি করিয়া সে নিজের পীড়ন হইতে নিজে মুক্ত হইতে পারিবে । বোলপুরের কাজে ইন্দু যে বিশেষ বল এবং শান্তি পাইবে আমার তাহাতে সন্দেহ নাই । তোমাকে আমার গ্রন্থাবলীর যে কয়খানি বই বাহির হইয়াছে পাঠাইবার জন্য প্রকাশককে লিখিয়া দিলাম । তোমার ভবানীপুরের ঠিকানাতেই যাইবে । একখানি “রাজাপ্রজা” আজ এখান হইতে পাঠাইলাম কাব্যগ্রন্থাবলী কলিকাতায় ফিরিয়া গিয়া পাঠাইব । ঈশ্বর তোমার সমস্ত অন্তঃকরণকে অধিকার করুন । ইতি ৭ই শ্রাবণ ১৩১৫ শুভানুধ্যায়ী শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুঃ মেয়েরা এখন ভালই আছে। তাহারা বোলপুর বিদ্যালয়ে S (t