পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VG) e ২২ মে ১৯১২ હૈં কলিকাতা কল্যাণীয়াসু মা তোমার স্নিগ্ধ পত্ৰখানি পাইয়া বড় তৃপ্তিলাভ করিয়াছি। দেবপূজার বিষয়ে যাহা লিখিয়াছ সে সম্বন্ধে আমার একটি কথা আছে । হৃদয় আপনার কাজ আপনার নিয়মে করে তাহার সঙ্গে বুদ্ধির নিয়ম মেলেনা এবং না মিলিলে কোনোই দোষ নাই। কিন্তু সে স্থলে সত্যভাবেই হৃদয়টি থাকা চাই নহিলে তেমন মুঢ়তা আর কিছুই হইতে পারে না । মা ছেলেকে আদর করিবার সময় আধ আাধ করিয়া প্রলাপ বকিয়া থাকে— কিন্তু তাহা মিষ্ট এবং সত্য । কিন্তু মাতৃস্নেহ হইতে বাদ দিলে তেমন অস্তুত অসঙ্গত আর কি আছে ! মাতাকে শিশুর আদর করার প্রণালী শিখাইতে হয় না— শিশুকে ভুলাইবার যে সমস্ত প্রচলিত অর্থহীন ছড়া আছে তাহাও মা যখন স্নেহের স্বরে ব্যবহার করে তখন তাহা নুতন ও সার্থক হইয়া উঠে । কিন্তু যদি কেহ শাসনের দ্বারা এই প্রণালীকে কৃত্রিম করিয়া ইহাকে নির্বিবচারে সৰ্ব্বজনের ব্যবহার্য্য করিয়া তুলে তাহ হইলে মুঢ়তায় দেশ আচ্ছন্ন হইয়া যায়। কারণ ভগবানের প্রতি স্বাভাবিক ভক্তি হুলভ অথচ কেবলমাত্র স্বভাবভক্তই যে পদ্ধতিতে সত্যভাবে চলিয়া তাহার সফলতা সহজে_লাভ_করিতে পারে তাহাকেই সৰ্ব্বসাধারণের একমাত্র পন্থা করিলে জ্ঞানের_পথ ত জুন ---حسد ○ 。