পাতা:চিঠিপত্র (সপ্তম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রুদ্ধ হয়ই, হৃদয়ের কার্য্যও বিকৃত হইতে থাকে। এ কথা সকলকেই স্বীকার করিতে হইবে জ্ঞানের বিষয়ে_নকল চলে এমনকি নকল করিয়াই তাহাকে আয়ত্ত করিতে হয় কিন্তু হৃদয়ের বিষয়ে নকল চলে না, নকল করিলেই তাহ_অসহ ভার হইয়া পীড়ার সৃষ্টি করে T এইজন্তই আমাদের দেশে ভক্তির_যে প্রণালী তাহ হৃদয়বান সাধকের পক্ষেই উপযোগী কিন্তু তাহা সাধারণের পক্ষে অনিষ্টকর— তাহারা তাহার মধ্য হইতে যেটুকু রস পায় তাহার_ চেয়ে মুঢ়তাই বেশি সঞ্চয় করে। ইহাতে কেবল অল্প কয়জনের উপকার হয় কিন্তু সমস্ত জাতিকে অন্ধ ও স্বাধীনবুদ্ধিবিচারহীন করিয়া নষ্ট করে । সেই দুৰ্গতি কি সমস্ত দেশের মধ্যে দেখিতেছ না ? ইহারা যে কোনোমতেই কোনো মঙ্গলকে নিজের বুদ্ধির দ্বারা গ্রহণ করিতে পারেনা কেবল সমাজশাসনের দ্বারা বলপূর্বক চালিত হইয়া স্বজাতিকে জড়ত্বে ও চিরদাসত্বে আবদ্ধ করিয়াছে তাহার মূলে কি এই পূজাৰ্চনাবিধি নাই ? তাহার দেবতাকে যে ভাবে গ্রহণ করে, দেবকাহিনীসকলকে যেরূপ অত্যন্ত ক্ষুদ্রভাবে বিশ্বাস করে এবং ধৰ্ম্মের নামে যেরূপে মনুষ্যত্ববিরুদ্ধ দুনীতিকেও বরণ করিয়া লয় তাহাতে কি সমস্ত জাতির মৰ্ম্মস্থলে মৃত্যুবাণ বাজে নাই ? দেশের মানুষকে কি এইরূপ অন্ধতার মধ্যেই ফেলিয়া রাখিব ? কিন্তু মা, যেখানে হৃদয় আপন স্বভাবের পথে চলে সেখানে সে সত্য পরিণামেই যায়— কিন্তু সেই স্বভাবের পথ অল্প লোকেরই। সে লোকেরা জ্ঞানী না হইতে পারেন পণ্ডিত না হইতে পারেন & a