পাতা:চিত্ত-বিকাশ - হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিত্ত-বিকাশ কাদিছে এখন হ’য়ে দিশেহারা, ধরায় পড়িছে পাগলিনী-পারা, সেও যাবে ভুলে কিছু দিন পরে, কদাচিৎ যদি কভু মনে করে । আই দেখ তোর প্রাণাধিক। নারী, যারে লয়ে তুই হ’লি রে সংসারী, তোর মুখ চেয়ে করিছে ক্ৰন্দন, নিম্পন্দ নিৰ্ব্বাক পাষাণ যেমন ; কিছু কাল পরে সেও রে ভুলিবে, ফিরে এলে কাছে চিনিতে নারিবে ! দাড়ায়ে শিয়রে, হারায়ে সংবিৎ, অই যে তোমার প্রাণের সুহৃৎ, যারে কাছে পেলে আর সব ফেলে, থাকিতে দিবস রজনী বিরলে, কত দিন মনে রাখিবে তোমায়, ভুলিবে যে দিন পাবে অন্য কায় । এই যে রে তোর গৃহ, অট্টালিকা, মঠ, অশ্বশালা, তোরণ, পরিখা, এ নাটমন্দির, হ্রদ, পুষ্করিণী, বিচিত্র চক্রিণী পতাকাশালিনী, কোথা রবে সব মুদিলে নয়ন, কে ভোগ করিবে এ সব তখন ! তুই নিজে যাবি ভুলিয়া সকলি— দার, পুত্র, সখা, এ ধরামণ্ডলী, ধন, মান, যশ, ঐশৰ্য্য, বিভব, দয়া, মায়া, স্নেহ, জনকলরব, একাকী উলঙ্গ সঙ্গে যাবি মোর, কিছুই সঙ্গেতে যাবে না রে তোর ! së