পাতা:চিহ্ন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেমন্ত জানুক, সীতা সব জেনেছে, বুঝতে পেরেছে। ওবেলার তর্কটা তাদের বাতিল হয়ে গেছে একেবারে। অনুরূপ মোহগ্ৰস্তার মত বসে থাকেন। ছেলে নিরাপদ আছে জানার পর এতক্ষণে তাঁর মুখ থেকে রক্ত সরে যাবার কারণ খানিকটা অনুমান করতে পারে সীতা । দ্বিধা-সংশয়ের দিন পার হয়ে গেছে হেমন্তের। সব রকম হাঙ্গামা থেকে নিজেকে সযতুে বাঁচিয়ে বেঁচে থাকার স্বাৰ্থদুষ্ট হীনতাকে আর সে প্রশয় । দিতে পারবে না। সে শুধু মনে মনে এটা করেনি স্থির, একেবারে হাতে নাতে বিদ্রোহ করেছে। সুখের রঙীন স্বপু মুছে যাবার সম্ভাবনায় মুখের চেহারাও তাই বিবৰ্ণ হয়ে গেছে অনুরূপার। আপনি অতি ভাবছেন কেন মাসীম ? ভাবব না ? তোমার নয় খুন্সীর সীমা নেই, হেমস্ত এবাৰ থেকে লেখাপড়া চুলোয় দিয়ে মিটিং করে বেড়াবে, জেলে যাবে, দেশোদ্ধার করবে। আমার অবস্থাটা বুঝে দেখেছ একবার? আমার কত আশা-ভরসা হেমন্তের ওপর । তুমি যে আমার কি ক্ষতি করলে শুধু ভগবান জানেন। ---আমায় শেষে দায়ী করলেন মাসীম ? সীতা বলে আশ্চৰ্য্য ও আহত হয়ে, ছেলেমানুষী ভুল করলেন একটা । আমার সঙ্গে মেশার জন্য আপনার ছেলে বদলায়নি। অত-বড় গৌরব দাবী করবার অধিকার আমার নেই। হেমন্ত নিজেই f : እ98