পাতা:চিহ্ন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবার চেতনা ওর লেগেছে। আমিনার তো মনে হয় দেশের সব ছেলেই তার রসুলের মত-অন্য কোন পথ তাদের নেই। আচছনু অভিভূতের মত রসুল ঘুমিয়ে থাকে, মাঝে মাঝে তার মুখ দিয়ে অস্ফুট কাতর শবদ বার হয়। আমিনা জেগে বসে চুপ করে চেয়ে থাকেন তার রক্তহীন বিবৰ্ণ মুখের দিকে। তার অশ্রুহীন দুটি আরক্তিম চােখে শুধু ইঙ্গিত ফুটে থাকে। হৃদয় t5 কি ভাবে রক্তাক্ত হয়ে আছে। * مہ V শেষ রাত্রে আবদুল ঘরে ঢোকে। এবার যেতে হবে রাসুল। হেঁটে ফিরতে পারবে ? আমিনা বলেন।” না, হাঁটতে হবে না। গাড়ীর ব্যবস্থা করেছি। ” আবদুলেরও ঘুম হয়নি, তার চােখ দুটিও টকটকে লাল হয়ে উঠেছে। সে চােখের দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে ঘুমন্ত সহরের শেষ রাত্রির স্তব্ধতা যেন পুণু হয়ে ওঠে। আমিনার কাছে : তোর কি শুধ একটি ছেলে ? কে নিজের ছেলে কে পরের ছেলে ভাববার ক্ষমতা নিজের ছেলেই তার লোপ পাইয়ে এনেছে ক্ৰমে ক্রমে। অজানা অচেনা অসংখ্য ছেলে তার রসুলের সঙ্গে আহত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে তার বুকের মধ্যে। আর এমন এক বন্ধুকে সঙ্গে এনেছে রসুল, দুদণ্ড যার মুখখানা দেখে মনে হচ্ছে, রসুলের মতই সে তার চেনা-জানা, নিজের বুকের রক্ত ঢেলে মানুষ-করা সন্তান। २२t