পাতা:চিহ্ন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিতে এসেছে রাবণের হাত থেকে তা কি সে জানত! বিশ্বাস করতে পারে নি, মনে হয়েছিল কোটালের জোয়ার বুঝি আসূর্সে নদীতে, ও তারই গর্জন । সে লোকটা কি পুড়ছে ওই আগুনে ? ধীরে সুস্থে পোষাক ছেড়ে, তাকে বার বার ভয় নেই ভয় নেই বলতে বলতে, পা পৰ্য্যন্ত বোলা যে জামাটা গায়ে দিয়েছিল সেই জামা শুন্ধু ? রাণী জোরে নিশ্বাস টানে-ওখান থেকে এতদূরে ভেসে এসে যেন পােড়া মাংসের গন্ধ তার নাকে লাগা সম্ভব । সে যখন বেরিয়ে ; আসে পাগলের মত, কয়েকজন মিলে সেটাকে মারছিল তার মনে পড়ে!! খুন করে কি রেখে এসেছে সেটাকে, ওরা চিতায় পুড়বার জন্য ? বেঁধে কি রেখে এসেছে নেওয়ারের খাটটার সঙ্গে জ্যাস্তু অবস্থায় ? ইত্ব, একটু ধৈৰ্য্য ধরে সবাইকে বাইরে ডেকে সে নিজেই যদি বাইরে থেকে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে সেটাকে সজ্ঞানে জ্যািন্ত অবস্থায় আগুনে পুড়ে মরবার ব্যবস্থা করে দিয়ে আসত ! ঠাণ্ড' কনকনে হাওয়া মুখে লাগছে। রাণীর শীতবােধ নেই। দূরে ওই অত্যাচারীর চিতার আগুনের তাপটাই সে অনুভব করছে, দেহমানের আর সব অনুভূতি মরে গেছে তার } নিজে শীতে না কোঁপে, গণেশের মা বলেন যাদবকে, মোদের শোবার লেগে দশগণ্ডা হুকুম না ঝেড়ে, নিজে এসে কান্ত হও না একটু এদের পাশে কাঁথাটা গায়ে দিয়ে ? চিহ্ন :: ዓ¢