পাতা:চিহ্ন - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তুই তো একটি শুলে পারতিস রাণি ? গণেশের মা বলে। আবেগহীন গলায়। এই মেয়েই যে যত বানবাট যত বিপাকের মূল এ কথা ভেবে তার কোন জ্বালা নেই। সংসারের আর দশটা বনুঝাটে নয় মেয়ে বলে ওকে গঞ্জন৷ দেওয়া চলে, এই সৃষ্টিছাড়া ভয়ঙ্কর ব্যাপারে ওকে দায়িক ভাবা কি যায়? গণেশের মারি অন্য দুশ্চিন্তা। মেয়ে তার খাটিই আছে, কিন্তু লোকে কি তা জানবে না মানবে } কেউ কিছু না বলুক, সবাই দরদ দেখাক, তবু মেয়ে তাঁধ ধৰ্ম্ম নাশের ছাপ মারা হয়ে রইল সকলের কাছে। সুধীর হয় তো মেয়েকে তার নেবে না। এই অজুহাতে। এ সব বাণী কি করে সইবে, অসহ্য হলে ঝোঁকের মাথায় কি করে বসবে, তাই ভাবে গণেশের মা ; সেবার পানীর কচি মেযেটাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল সাতরার কাম্পে, সাধারণত পদী মেয়ের কানু শুনেছিল আর পাগলেৰ মত পাব: দিয়েছিল ক্যাম্পের চারিদিকে । সকালে আধমরা মেয়ে নিয়ে পদী গাঁয়ে ফিরলে কি হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল চারিদিকে, কেমন মবিয়া হয়ে উঠেছিল। চারদিকের ছিন্দু-মুসলমান চাষাভুষো সব একজোট হয়ে, বড় হাকিম নিজে এসে "বস্থা করার কথা না দিলে কাণ্ডই হয়ে যেত একটা ! কাণ্ড হল শেষতক, তার মেয়েকে নিয়ে। পদীর মেয়েব দিকে ছিল সবাই, পাণ দিয়ে মায়া করেছে তাকে সবাই, সে নিজেও কি একদিন