তাহারই মধ্য হইতে আগ্নেয়গিরির অগ্নি-উৎপাত মাঝে মাঝে ঘটিয়া থাকে। অহরহঃ ভূমিকম্প হয়। গম্ভীর সৌন্দর্যের সহিত ভীষণতার সংমিশ্রন। পর্বতটি সহরের অনতিদূরে অবস্থিত, সর্ব্বদাই দেখা যায়। আমাদের হিমালয়ের মত এইটি জাপানীদের দেবতার স্থান; জাপানের পরম পবিত্র ধাম বলিয়া গণ্য।
তাহার পাশেই “Lake-side Villa” অর্থাৎ, হ্রদের পার্শ্ববর্ত্তী আবাসগৃহ। ছোট একতালা গৃহটির ঢালু ছাদ চীনে ফ্যাশানের মত,—ধার ও কোণ উচুঁকরা। চারি পার্শ্বে বাগান ও ফুলের গাছ। স্বচ্ছ জলে কুটীরটির ছায়া পড়িয়াছে। দূরের পাহাড় ও পার্শ্বের গাছও সেখানে প্রতিভাত হইতেছে। দুই একখানি পাল-তোলা নৌকা জলে ভাসিতেছে। সবগুলিই দুই একটী রেখায় আঁকা। তাহাতেই কত সজীবতা, কত সৌন্দর্য্য ফুটিয়াছে। জাপানী চিত্রের এইরূপ সরলতাই পরম গুণ। ছোট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নিৰ্জ্জন সেই কুটিরটি দেখিলে মনে হয়, যেন সেটি যাবতীয় পার্থিব সুখের আলয় ও শান্তির ধর্ম্ম-মন্দির। রুগ্নের বা ব্যথিতের শেষ জীবন কাটাইবার উপযুক্ত স্থান।
মঙ্গোলিয়ান দেশের দোকানে এত ককেশিয়ান ছবি রাখা হয়। কেন, এ কথা জিজ্ঞাসা করাতে চিত্রকর বলিলেন যে, ইউরোপ ও আমেরিকাতেই এই সকল ছবির ক্রেতা অধিক। তাঁহার মুখে শুনিলাম, তিনি ইউরোপের ও আমেরিকার প্রায় সকল দেশেই গিয়াছেন। ইটালীতে চিত্রবিদ্যা শিখিবার জন্য অনেক দিন ছিলেন। অনেকগুলি চিএ ইটালীয় আদর্শে আঁকা। “Birth of Hellen", “Water Baby” ও “Birth of a Pearl” সেখানকার আদর্শে আঁকা। আমি তাহার মধ্যে অনেকগুলি চিত্র ইম্পিরিয়াল লাইব্রেরীর কতকগুলি ছবির পুস্তকে দেখিয়াছি।