নির্দিষ্ট আছে। তাহাকে বয় (Boy) বলে। সে যথা সময়ে বিছানা পাতে, জুতা ঝাড়ে ও খানা জোগায়। জাহাজে নাপিত আছে; কিন্তু ধোপার ব্যবস্থা নাই। কোন বন্দরে জাহাজ থামিলে কাপড় কাচাইয়া লাইতে হয়। এক দিনেই কাপড় কাচিয়া দিতে পারে; কিন্তু প্রতি কাপড় খানির জন্য দুই আনার ও বেশী দিতে হয়।
প্রথম শ্রেণীর ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ভোজনাগার পৃথক পৃথক; ঠিক নির্দিষ্ট সময়ে ভোজনের ঘণ্টা পড়ে। সকাল ৯টার সময়ে প্রাতর্ভোজন (Breakfast), ১টার সময়ে জলযোগ টিফিন (Tiffin) ও সন্ধ্যা ৭টার সময়ে প্রধান ভোজন বা ডিনার (Dinner) হয়। তা’ছাড়া প্রত্যুষে ৬টার সময় ছোট হাজারী ও বৈকালে ৪টার সময় বৈকালিক বা (After-noon Tea)দেওয়া হয়। এ দুটিতে কেবল চা ও মাখন,এবং পাউরুটির টোষ্ট থাকে। তা ছাড়া সকল সময়েই প্রচুর মাংস দেয়। ডিম, মাছ, মুরগী, পায়রা, হাঁস, ভেড়া ইত্যাদি নানারূপ মাংস আধসিদ্ধ ভাবে প্রস্তুত হয়। মাংস ও মাছ বরফের ঘরে (Ice Chamber) রক্ষিত হয়। এজন্য ইহা অনেক দিন পর্য্যন্ত টাটকা জিনিষের মত থাকে। তবে কতক কতক জীবিত জন্তু ও পক্ষীও রাখা হয়! ব্রেক্-ফাষ্ট ও টিফিনে ভাত ও পাওয়া যায়। তা ছাড়া অতি উপাদেয় ফল, যেখানে যা পাওয়া যায়, উক্ত খানায় ও টীফিনের সঙ্গে দিয়া থাকে রুটী, মাখন, জ্যাম, জেলি অপর্য্যাপ্ত। তবে নিরামিষাশীর আহারের অনেকটা অসুবিধা হয়। জাহাজে বিলাতী গাঢ় দুগ্ধ (Condensed Milk) ছাড়া অন্য দুধ পাওয়া যায় না।
পূর্ব্বেই বলিয়াছি, দিন রাত জাহাজ চলে। তখন জাহাজের লোক জন, বিস্তীর্ণ জলরাশি ও অনন্ত নীল আকাশ ছাড়া আর কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না। উড্ডীয়মান মৎস্য সকল জাহাজের শব্দে জল হইতে উড়িয়া খানিকদূর গিয়া আবার জলে বিলীন হয়। পথে কখন