এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হংকং
১২৭
মথুরা ও জয়পুরে বেড়াতে গিয়েছিলাম, তখন সে সব স্থানে অসংখ্য ঘুঘু-মিথুন দেখে তাহাদের মধুর রব আনার কাণে চিরপরিচিত হয়ে গেছে। বিজন স্থানে সে মর্মভেরী চাপা গলার কাতর ডাক শুনিলে সকল লোকেরই মনে কেমন এক অন্যমনস্ক ভাব আসে। কি যেন এক পুরান স্মৃতি অস্পষ্ট ভাবে মনে জাগে। মনে হয় কিছু যেন হারাইয়াছি—তাহা মনে আসিয়াও আসিতেছে না। আজ হংকংএও সেইরূপ হলো। কালিদাসের এই কবিতাটী তখন আমার মনে পড়িল,—
“রম্যাণি বীক্ষা মধুরাংশ্চ নিশম্য শব্দান্
পর্যু্যৎসুকীভবতি যৎ সুখিতোঽপি জন্তুঃ।
তচ্চেতস স্মরতি নূনমবোধপূর্ব্বং
ভাবস্থিরাণি জননান্তরসৌহৃদানি।৷”
শব্দ লক্ষ্য করিয়া সেই দিকে গিয়া দেখি, পিঞ্জরাবদ্ধ দুইটি ঘুঘু বিভিন্ন খাঁচায় পৃথক থাকিয়া আবেগপূর্ণ হৃদয়ে পরস্পরের দিকে ফিরিয়া ঐরূপ মধুর শব্দ করিতেছে!