বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:চীন ভ্রমণ - ইন্দুমাধব মল্লিক.pdf/১৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এময়। [ প্রথম প্রস্তাব হংকং বন্দর হইতে বাহির হইবার পথ দেখিতে অতি সুন্দর। কাউলন নামক যে স্থানের কথা আগে বলিয়াছি, সে স্থান এই পথেই অবস্থিত। সেটী সেনা-উপনিবেশ ও সংগ্রহ করিবার একটা প্রধান মাড্ডা। অতি সুদৃঢ় ফেল্লা দ্বার: রক্ষিত। যতদূর দেখা যায় কেবল কারখানা, যুদ্ধের জাহাজ, গার ধ্বজ-পতাক) উড়ান প্রাচীর বেষ্টিত কেল্লা। সেখানকার পাহাড়গুলিও তেমনি দেখিতে। কালো কালো অতি প্রকাণ্ড পতরের স্তূপ, হাটী নাহ—গাছ পালাও নাই। দেখলে যেন ভয় করে। ভীমবেগে গুলি তাহাদের গাত্রে লাগিয়া ফেনীল হইরা যাইতেছে। পাহাড়ে পাহাড়ে প্রতিহত হইনা সে বিষম ভল-করোপ কতই বা ভয়ানক শুন! মনে হয়, যেন সমুদ্রে আর বেলা-ভূমিতে তুমুল যুদ্ধ হয়েছে। কোনও কোনও স্থানে দুটা পাহাড়ের মধ্যে বাহির হইবার পর কেন মাত্র কলিকাতার গঙ্গার মত চওড়া। এরূপ হলে, গুরূপ সুদৃঢ়রূপে রক্ষিত স্থানের নিকট শত্রুর জাহাজ আসা একেবারে অসম্ভব। ভূমধ্যসাগর প্রভৃতি সন্তান্ত সমুদ্রের উপর আধিপতা স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে প্রশান্ত মহাসাগরের উপরও আধিপত্য স্থাপনাশায় এ হান্ডা এমন সুদৃঢ়রূপে রক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। হংকং হইতে এময় বাইতে সচরাচর একদিন লাগে। কিন্তু আমরা পাচ দিনে তথায় পৌছিলাম। চীন সমুদ্রের অবস্থা এতই ভয়ানক ছিল ধে, যে জাহাজ ঘণ্টায় পনর মাইল ল হ দুই মাইল মাঝ