চীনে প্রণালীতে গড়া। ঢালু ছাতওয়ালা বাজার। গৃহস্থদের ছোট বাড়ীগুলির খিড়কীতেইতেই সমুদ্র, ছোট ছোট ধাপ দিয়া তাদের বাড়ীতে উঠা যায়। যেখানে সেখানে “ড্রাগন” আঁকা। চীন দেশের নিশান উড়িতেছে। আর অত দুরে,—সহরের একদিকে একটা উচ্চ পাহাড়, —তার গায়ে গায়ে শ্বেত পাতরের স্তূপ। সেগুলি, যে কি, দূর হইতে তাহা দেখিয়া বুঝা যাইতেছিল না। পরে যখন সেই পাহাড়টিতে উঠয়াছিলাম, তখন জানিলাম সেগুলি চীনেদের গোরস্থান। আর সেই পাহাড়েরই অতুচ্চ চূড়ায় এক প্রকার পাতরে অতি প্রাচীনকালের ঢৗনে ভাযায় লিখিত প্রস্তর স্তম্ভ আছে। এই প্রাচীন স্থানটিতে চীনেদের পূর্ব্বপুরুষগণ কত শতাব্দি ধরিয়া অনন্ত নিদ্রায় নিদ্রিত; এইজন্য এ স্থানটি পুন্যস্থান ধলিয়া বিবেচিত হয়।
বন্দরটী, নৌকা ও জাহাজ পরিপূর্ণ। বন্দরে ঢুকিবামাত্রই পোষ্টাফিস হইতে, কষ্টম হাউস হইতে, পুলিস হইেত, ভিন্ন ভিন্ন সওদাগরদের আফিস হইতে ষ্টীমার ও সাম্পান আসিয়া আমাদের জাহাজ ঘিরিল। তার ভিতর অনেকগুলিতেই ইউরোপীয় কর্ম্মচারী, তাঁরা সকলেই ইংরাজী জানেন। নৌ-পুলিসের জাহাজখানি আসিয়া, যতক্ষণ লোক জন নামা-উঠা করিতে লাগিল, ততক্ষণ পছে লোক জনাদের কোনওরূপ বিপদ-আপদ ঘটে, এই আশঙ্কায়, আমাদের জাহাজের চারিদিকে ঘুরিয়া বেড়াইত লাগিল।
রাত্রি আগত হইলে এই চীন বন্দরে একটি দৃশ্য দেখিলাম, যাহা পূর্ব্বে কখনও দেখি নাই। সুন্দর বেশভূষা করিয়া চীন দেশীয় গণিকাগণ সাম্পানে, দলে দলে জাহাজে আসিয়া উঠিতে লাগিল। যাত্রীর ভাণ করিয়া নহে, কোন কিছু বেচিবার অছিলা করিয়াও নহে, প্রকাশ্য ভাবে—শীকার উদ্দেশে তাহার জাহাজে আসে ও তাহাদিগকে আসিতে দেওয়া হয়। শুনিলাম পূর্ব্বে জাপান দেশের ইয়াকোহামা