এময়।
[ দ্বিতীয় প্রস্তাব।]
সকল দেশেই চীনেম্যান দেখা যায়, কিন্তু সকল দেশের লোকেই তাহাদিগকে এক রকম অদ্ভুত লোক বলিয়া মনে করে। দেখিতে এক রকম, পোষাক এক রকম, মেয়ে মানুষ নয়, অথচ পৃষ্ঠদেশে বিলম্বিত বেণী। ইহারা কাহারও সহিত মিশতে জানে না। মুখে হাসি নাই, সদাই গম্ভীর এবং যাহা পৃথিবীর সকল লোকের হেয় এমন সব খাদ্য খায়। এই সকলই অদ্ভুত মনে করিবার কারণ। আমাদের বাড়ীর ছেলেরা তো চীনেমানের নাম শুনিলেই “হং-ছং-পং” ক’রে ভেঙ্গায়! চীনেম্যান সম্বন্ধে কোনও কথা বলিলে, ‘জুজুবুড়ীর’ গল্প শুনার মত সভয়ে অতি আগ্রহের সহিত চুপ করিয়া শুনে। আমি দিনকতক মাত্র জাহাজে বেড়াতে গিয়ে চীন দেশ দেখে এসেছি, তাতেই কত নাম। ব্রহ্ম ও মালয় দেশ দিয়াও গেলাম, তার নাম কেউ করে না, কিন্তু চীন দেশে কি দেখিলাম। সেই খবরই সবাই শুন্তে চায়। এই সকল হইতে বুঝা যায়, চীনজাতি ও চীনদেশকে লোকে যথার্থই অদ্ভুত বলিয়া মনে করে।
বাস্তবিকই তাহারা অদ্ভুত। বহুদিনকার পুরান এক রকম, রীতিনীতি তাহাদের মধ্যে আজও চলিতেছে। বাহির হইতে ইহারা কোনও পরিবর্ত্তন লাইতে চাহে না। অত প্রাচীন বা অতবড় বিশাল রাজ্য আর নাই। আর এতাবৎকালের চীনের ইতিহাসও অতি বিস্ময়কর।
সকল দেশেরই পুরাতন ইতিহাস অনেকাংশই অজ্ঞাত। সেই