যাইয়া তপস্যারত বুদ্ধের নিকট হইতে ঐ পাঁচগাছি চুল চাহিয়া আনিয়াছিল। ঐ মন্দির-গঠন হইতেই রেঙ্গুনের উৎপত্তি। পরে অষ্টাদশ শতাব্দীতে 'আলাম্প্রা' নামক এক জন রাজা রেঙ্গুনের আসল ভিত্তি স্থাপন করেন।
আলাম্প্রা এক জন সামান্য অবস্থার লোক ছিলেন। বনে বনে শিকার করিয়া তিনি জীবনযাপন করিতেন, পরে অনেক লোকের নেতা হইয়া যুদ্ধ-বিগ্রহ আরম্ভ করেন; যেখানে অভিযান করেন, সেই খানেই জয়ী হয়েন। তখন ব্রহ্মদেশ ছোট ছোট নানা রাজ্যে বিভক্ত ছিল। সেখানকার রাজারা সর্ব্বদাই পরস্পর কলহ করিতেন। ক্রমে পেগু, আরাকাণ, টেনিসেরিম্-সবগুলিই তিনি জয় করিলেন; শেষে শ্যামেও যুদ্ধযাত্রা করিলেন। তথাকার রাজধানী তাঁহার হস্তগত হইলে, সেই স্থানেই তিনি রোগে আক্রান্ত হইয়া প্রাণত্যাগ করেন। এই আলাম্প্রা হইতেই বর্ম্মার শেষ রাজবংশের সূত্রপাত। এ সব বেশী দিনের কথা নয়, প্রায় পলাশী যুদ্ধের সমসাময়িক; অর্থাৎ,—১৭৫০ খৃষ্টাব্দে ঘটে।
তখন আসাম, মণিপুর ইত্যাদি রাজ্য বর্ম্মা রাজ্যেরই ক্ষমতাধীন ছিল। বর্ম্মার রাজগণ এই পথ দিয়া আসিয়া ব্রিটিশ রাজ্য লুঠ-তরাজ করিতেন, নিষেধ করিলে কর্ণপাতও করিতেন না। এই সূত্রেই প্রথম বর্ম্মা যুদ্ধ ঘটে। ক্যাম্বেল সাহেব সসৈন্যে ইরাবতীর ভিতর প্রবেশ করেন। একটিমাত্র তোপের আওয়াজেই রেঙ্গুন অধিকৃত হয়। সেখানকার কেল্লাগুলি শেগুন কাষ্ঠে নির্ম্মিত ও চন্দন কাষ্ঠের কারুকার্য্যে খচিত। ভঙ্গুর হইলেও দেখিতে অতি পরিপাটী ছিল। রেঙ্গুন অধিকার করিয়া তিনি চারি দিকে সৈন্য পাঠাইয়া দেশ জয় করিতে লাগিলেন, এবং অতি অল্প আয়াসেই সে কার্য্য সম্পন্ন হইতে লাগিল। তখন অনন্যোপায় হইয়া ব্রহ্মরাজ আমেরিকান্ পাদরী জডসনকে সন্ধির