ব্যবহার করে না। যে দেশে রেশমের কাপড়ই সাধারণের পরিধেয়, সে দেশে সাজ-সজ্জায় স্পৃহা কত বেশী তা সহজেই বুঝা যায়। মিহি রেশমের কাপড় চীন হইতে আমদানী হয়,—তার দামও অনেক। সাজ-সজ্জার বিষয়ে তাহাদের এত বাড়াবাড়ি যে, কাপড় একবার কাচাইলে আর সে কাপড় তাহারা বাহির হইবার কালে পরিবে না,—কেবল বাড়ীতেই পরিবে।
বর্ম্মা দেশে কাঠের কাজ ও গালার কাজ অতি পরিপাটী হয়। আমি কতকগুলি গালা-পালিস-করা বড় বড় কাঠের ও ঝুড়ির থালা ও গেলাস আনিয়াছি। এক একখানির বারো আনা মাত্র দাম। যে দেখে, সেই সুখ্যাতি করে,—সেগুলি এত সুন্দর।
বর্ম্মাবাসীর বিবাহ-প্রথা আমাদের বিবাহ-প্রথা হইতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন। বাল্য-বিবাহের তো নামগন্ধও নাই। ওসব অঞ্চলের কোনও দেশেই সমাজের দারুণ অনিষ্টকর বাল্য-বিবাহ-প্রথা নাই। দিন-ক্ষণ দেখিবার ভাৱ সর্ব্বত্রই আমাদের দেশের মত দৈবজ্ঞের উপর ন্যস্ত; তবে বর-ক’নেই পরস্পরকে বাছিয়া লইয়া থাকে। চীন বা জাপানে কিন্তু এরূপ প্রথা নাই। সে সকল দেশে আমাদের দেশের মত বাপ-মা যাহাকে পছন্দ করিয়া দিবেন, তাহার উপর কাহারও কথা নাই। আমাদের দেশের মত বর্ম্মায় বর ক’নের বাড়ী গিয়া বিবাহ করেন। চীন ও জাপানে ক’নেকে সমারোহের সহিত বরের বাড়ী যাইয়া বিবাহ করিতে হয়। বর্ম্মায় স্ত্রীলোকের ক্ষমতা এতই বেশী যে, বিবাহের পর জামাতাকে অন্ততঃ কিছুদিন শ্বশুরঘর করিতেই হয়। ধূলাপায়েই কেহ কেহ দুই তিন বৎসর থাকেন। কেহ কেহ বা শ্বশুর-বংশের উপাধি লইয়া চিরকালই পোষ্যপুত্রের মত শ্বশুর-ঘরে থাকিয়া যান। এক জন জাপানীর নিকট শুনিয়াছি, জাপানেও এরূপ