ঢলঢ’লে পোষাক পছন্দ। কাপড়চোপড়েই তাহাদের সজ্জার বেশীভাগ দৃষ্টি। স্তনের উপর অবধি আঁটিয়া লুঙ্গি পরে বলিয়া, স্বাধীনভাবে চলা ফেরার ব্যাঘাত হয়। সেই কারণেই বর্ম্মা জাতির স্ত্রীলোকদের চলা ও নাচা সরল ভাবে হয় না; -কতকটা আড়ষ্ট-আড়ষ্ট ভাব।
বর্ম্মার লোক অলস, এবং আমোদ ও সজ্জাপ্রিয় একথা পূর্ব্বেই বলিয়াছি। ভবিষ্যতের ভাবনা ইহারা ভাবে না। সেই জন্য অনেক লোকই ঋণগ্রস্ত। নাচ, গান, যাত্রা ইত্যাদি প্রায়ই হইয়া থাকে। ভেড়ার লড়াই, মুরগীর লড়াই, নৌকার বা’চ-খেলা সচরাচরই দেখা যায়। ব্রহ্মদেশ ধনধান্যে পূর্ণ। আশ্রয়স্থান নির্ম্মাণের জন্য শেগুন কাঠ ও আহারের জন্য চাউল অনায়াসে অপর্য্যপ্ত জন্মে। আহার ও আশ্রয়স্থান,—এই দুইটি জীবনধারণের প্রধান আবশ্যক-দ্রব্যের এত সহজে যোগাড় হয় বলিয়াই তাহারা এত অলস হইয়া পড়িয়াছে। গ্রাসাচ্ছদন সুলভ হইলে সকল দেশেই এরূপ ঘটিয়া থাকে,—লোকেরা অলস ও অকর্ম্মণা হইয়া পড়ে। ভারতবর্ষেও এরূপ ঘটিয়াছে। তাই দেশ রত্নপ্রসু হইলেও বর্ম্মাবাসী এখন আর তত লাভবান্ নয়। লাভের বেশীর ভাগই বিদেশী ব্যবসাদার ও সুদখোরের হাতে যায়।
ব্রহ্মদেশে সচরাচর শবদেহ গোর দেয়, এবং ফুঙ্গীদের শবদেহ দাহ করা হয়। কখন কখনও বা কিছু দিন গোর দিয়া রাখার পর সেই শবদেহ পুনরায় উঠাইয়া বহু সমারোহের সহিত দাহ করা হয়। আমাদের দেশে যেমন অশৌচ-পালন-রূপ একটি নিয়ম পালন করিতে সকলেই বাধ্য, ও সকল দেশেও সেইরূপ। আশৌচ কালে আহার ও পরিধেয় সম্বন্ধে বাঁধা নিয়ম আছে। আত্মীয় বুঝিয়া অশৌঁচের দিন বাড়ে ও কমে; সে সময়ে নিরামিষ ভোজনই কর্ত্তব্য। স্ত্রী মরিলে অশৌচ কম, স্বামী মরিলে সর্ব্বাপেক্ষা বেশী। বাপ-মায়ের জন্য অশৌচ স্বামীর অশৌচের মত; তিন দিন নহে। আমাদের দেশে যেমন অশৌচ