পাতা:চীন ভ্রমণ - ইন্দুমাধব মল্লিক.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

পিনাঙ।

[ প্রথম প্রস্তাব। ]

 রেঙ্গুন হইতে জাহাজ ছাড়িয়া দুই দিন দুই রাত ক্রমাগত যাওয়ার পর চতুর্থ দিন ভোরে জমি দেখা গেল। এ সকল জমি রেঙ্গুনের মত সমতলভূমি নয়; কেবল পর্ব্বতময়। উপকূলের চতুর্দ্দিকেই সমুদ্র হইতে মাছ ধরিবার বিপুল আয়োজন দেখিলাম; বড় বড় কাল রঙ্গের খুঁটী দিয়া স্থান ঘেরা-জাল ফেলা। ধীবরদের থাকিবার জন্য তীরে ছোট ছোট করুগেট আয়রণের ঘর। পা’ল তোলা নৌকার অহরহ তীর আচ্ছন্ন। ভাত আর মাছই এ সকল দেশের প্রধান আহার। এই সকল মাছ শুকাইয়া বহু দিন পর্য্যন্ত বেশ রাখা যায় ও তাহাই অন্য দূরবর্ত্তী স্থানে রাশি রাশি রপ্তানি হয়। এখানকার সকল দেশেই শুটকে মাছ একটা উপাদেয় খাদ্য। এ সকল দেশে কত নূতন রকমের মাছ দেখা যায়। ‘জেলী ফিস’ (Jelly fish) নামক এক প্রকার মাছ ঠিক জলের উপর ভাসিয়া বেড়ায়। চিত্র-বিচিত্র করা ছাতার মত দেখিতে। তার চতুর্দ্দিক হইতে যেন নানা রঙ্গের ফল-ফুল ঝুলিতেছে। (Cuttle fish) 'কাটেল ফিস’ নামক আর এক রকম লম্বা লম্বা দাঁড়াসংযুক্ত গোল মাছ মাথা নীচের দিকে করিয়া জলের ভিভর ঘুরিয়া বেড়ায়। ইহারা বড় হিংস্ৰক ও প্রণীভোজী; কিন্তু চীনেম্যানেরা অতি উপাদেয় মনে করিয়া এই জাতীয় শুকনা মাছ খায়।

 বন্দরে জাহাজ ঢুকিবামাত্রই অসংখ্য “সামপান” আসিয়া জাহাজের চারি ধার ঘিরিল; মাঝিরা সকলেই চীনেম্যান। তাহারা তাহাদের প্রিয় নীলবর্ণের ঢলঢ়’লে পোষাক পরিয়া ক্ষিপ্রহস্তে দাঁড় বাহিয়া