পাতা:চীন ভ্রমণ - ইন্দুমাধব মল্লিক.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।



সিঙ্গাপুর।

[ দ্বিতীয় প্রস্তাব। ]

 জাহাজও জোঁটতে লাগিল আমি ও জাহাজ হইতে নামিলাম। জেটিতে লাগে বলিয়া, এ সকল স্থানে জাহাজ হইতে নাম-উঠার কোনও গোলমাল নাই। রেঙ্গুনের মত সামপানের সাহায্য লইতে হয় না। নামিয়া আর দুই পা’ গেলেই অসংখ্যা রিকস ঠেলাগাড়ী পাওয়া যায়; সুতরাং এ সকল স্থানে ভ্রমণ করার বিশেষ সুবিধা। পূর্বেই বলিয়াছি, ঘণ্টায় দুই জনার ৩০ সেণ্ট মাত্র ভাড়া;—রিকসগাড়ী ঘোড়ার গাড়ীর মত বেগে চলে; সুতরাং অতি অল্প সময়ে ও অতি কম খরচে সকল স্থান দেখা যায়।

 প্রতি সাগর বা প্রণালীতে প্রবেশের পথেই ইংরাজ অধিকৃত একটু না একটু স্থান আছেই। সমুদ্রের উপর ক্ষমতা অক্ষুন্ন রাখিবার জন্য এরূপ আবশ্যক। এক সিঙ্গাপুরই কতদিকের পথ আগুলিয়া আছে। চীন, জাপান ও অষ্ট্রেলিয়া যাইবার পথে সকল জাহাজকেই এখান দিয়া যাইতে হয়। শুধু এখানে নহে, ভূমধ্য সাগরের প্রবেশের পথ জিব্রালটার হইতে দেখিয়া আসিলে, সর্ব্বত্রই এরূপ দেখা যায়। ভূমধ্য সাগরের মধ্যপথে মালটা দ্বীপ ইংরাজ অধিকৃত। মিসর দেশ ইংরাজেরই ক্ষমতাধীনে; ইহা ভূমধ্য সাগর হইতে লোহিত সমুদ্রে প্রবেশের পথে অবস্থিত। লোহিত সমুদ্র হইতে বাহির হইবার পথেই এডেন-বন্দর। তার পর ভারতবর্ষ, লঙ্কাদ্বীপ ও ব্রহ্মদেশ ত ইংরাজেরই করতলগত। মালয়-প্রণালীর পথে পিন্যাঙ ও সিঙ্গাপুর এবং চীনসমুদ্রের একদিকে লাবুয়ান দ্বীপ এবং অপর দিকে হংকং দ্বীপ ইংরেজাধিকৃত।