সিঙ্গাপুর প্রবন্ধে চীনেম্যান সম্বন্ধে বেশী কথা বলার আমার ইচ্ছা ছিল না; সে কথা হংকং, এময় প্রভৃতি চীন দেশীয় স্থান সম্বন্ধে বলিলেই ভাল হইত। তবে মালয় দেশ ও তথাকার আদিমবাসী সম্বন্ধে পিনাঙ সম্বন্ধে বলিতে গিয়া অনেক কথা বলিয়াছি আর ইহাও বলিয়াছি যে, এ সকল দেশে শতকরা ৯০ জন চীনেম্যান বাস করে। যদিও দেশটী মালয়-উপদ্বীপ বটে, কিন্তু চীনে অধিবাসীই বেশী ও ব্যবসাদিসূত্রে তাহারাই প্রধান। এই কারণে চীনেম্যানের কথা আপনিই আসিয়া পড়িল। বিশেষ সিঙ্গাপুরের মত একটি প্রধান বন্দরে বিপুল জেটীর কথা বলিতে বলিতে চীনে কুলির কথা না বলিলেই নয়।
জেটীতে কত বিভিন্ন প্রকার মালপত্র দেখিলাম। রেঙ্গুন হইতে আনীত চালের বস্তা ঠাসা রহিয়াছে। আমরা আবার আরও কতকগুলি চালের বস্তা নামাইয়া দিলাম। বাহাদুরী কাঠ, লোহার কড়ি, কারুগেটেড আয়ারণ, অনেক বিলাতী কাপড়ের গাঁট ও অন্যান্য নানা রকমের বিলাতী দ্রব্যাদি নামিল। জেটীতে অধিকাংশই বিদেশী পণ্যদ্রব্য। জাপানী দেশলাইয়ের অসংখ্য বড় বড় বাক্স এখান হইতে চালান হইয়া ভিন্ন ভিন্ন জাহাজে রেঙ্গুন, পিনাঙ প্রভৃতি দেশে নীত হইতেছে। আপকার কোম্পানীর জাহাজেই সর্ব্বাপেক্ষা ভিড়। চীনদেশে মালপত্র বা লোকজন নিয়ে যাওয়া, নিয়ে আসা সম্বন্ধে আপকার কোম্পানীর জাহাজই প্রধান।
সহরের ভিতর ঢুকিয়া যতদূর দেখিলাম, সমস্ত সহরটী কেবল দোকানে পরিপূর্ণ। লোকে লোকারণ্য, তার অধিকাংশই চীনে। পৃথিবীর সকল দেশের লোকই এখানে ব্যবসাসুত্রে আসিয়াছে। সকল লোককে দেখিলেই মনে হয় তাহারা অস্থায়ী, কেবল ধন লুটিতে আসিয়াছে। শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে আমেয়িকাবাসীই বেশীর ভাগ। বিস্তুর ফরাসীও আছে, তাহারা মদের দোকান বা থিয়েটার বা কেশ পারি-