এত অবরোধ সত্ত্বেও বাহিরে বেড়াইবার একটা নির্দিষ্ট সময় আছে, অন্য দেশে যে তাহাও নাই, দিনরাত ঘরে বন্ধ থাকে।
কোরিয়া দেশে প্রায়ই স্বামী অপেক্ষা স্ত্রী বয়সে বড় হইয়া থাকে। বিবাহের প্রথা ও অতি চমৎকার। বর বিবাহের সময় ক’নের বাড়ী গিয়া দরজায় জানু পাতিয়া বসিয়া একটি হংসী ছাড়িয়া দেন। আমাদের দেশে পুরাকালে নলরাজার বিবাহেও দময়ন্তীর নিকট সোনার হাঁস দূতস্বরূপ প্রেরিত হইয়াছিল। কিন্তু এখানে হংসের অন্য তাৎপর্য্য আছে। নিম্নোক্ত ঘটনা লইয়া এরূপ প্রথা প্রচলিত হইয়াছে। পুরাকালে একদা এক হংসমিথুন ক্রীড়ায় রত ছিল, এক ব্যাধ শরবিদ্ধ করিয়া হংসটিকে মারিয়া ফেলে। হংসী কাতর স্বরে চীৎকার করিতে লাগিল। তাহার পর সে যতদিন বাঁচিয়া ছিল, মধ্যে মধ্যে সেই স্থানে তার সঙ্গীকে খুঁজিতে আসিত ও না দেখিয়া করুণস্বরে বিলাপ করিত। দম্পতী-যুগলের প্রণয় এইরূপ প্রগাঢ় ও অধিনাশী হইবে বলিয়াই হংস লহঁয়া এই ঘটনার অভিনয় করা হয়। বিবাহ প্রথার ইহাই একটী অঙ্গ। হিন্দু বিবাহ যেমন শালগ্রাম নহিলে আইন সঙ্গত হয় না, হংস সম্বন্ধে সেখানেও সেইরূপ। হংস-মিথুনের এই ঘটনাটি ঠিক আমাদের রামায়ণের ক্রৌঞ্চ-মিথুনের ঘটনার মত। সকল দেশেই মানবহৃদয়ের চিন্তাৱ গতি বুঝি একই পথে প্রধাবিত।
প্রথম শ্রেণীতে কতকগুলি স্ত্রীলোক ছিল, তাহারা ইউরোপীয় ও চীনে মিশ্রিত জাতি, পুর্ব্ব-উপদ্বীপে বাস করে। ইউরোপীয়দের মত নাসিকা উন্নত, অথচ গালের হাড় ও উঁচু। ইহারা চীনে স্ত্রীলোকের মত ঢল ঢ'লে ইজের ও চায়না কোট বা বিবিদের মত গাউন কিছুই পরে না। তাহাদের পোষাক,—পরনে রেসমের লুঙ্গী ও গায়ে এক গা' গহনা। ইহারা পান সুপারি ও চুরট খায় এবং। পান করে। ইহারা খুব খাইতে পারে। প্রত্যহ প্রাতে উঠিয়া দেখিতামইজের