“চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন
ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে।
কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে
কভু আশীবিষে দংশেনি যারে।”
কি আশ্চর্য্য! এই সকল নানা দেশের লোকের কার্য্য কলাপ দেখিয়া আমার এতদিন মনে হইতেছিল যে, অবস্থা বিশেষে আমরা যে কাজ করি, ইহারাও সকলে ঠিক সেইরূপ করিয়া থাকে। এখন দেখিলাম, লোকে হৃদয়ের ভাব ভাষায় ফুটাইতে গেলেও ঠিক একই সুরে হৃদয়ের উচ্ছ্বাস বাহির হয়।
তার মধ্যে আর একখানি পুস্তকে দেখিলাম, পুস্তক উৎসর্গ করিবার স্থানে যাহাকে উৎসর্গ করা হইতেছে তাহার নামোল্লেখ নাই,—কেবল লেখা আছে, “চির আরাধ্য—তোমাকে।” যেন গভীর অনুরাগের স্রোত অন্তরে অন্তরে প্রবাহিত হচ্চে—যে কারণেই হোক মুখ ফুটে বলিবার যো নাই।
আর একখানি পুস্তক কোন চীন মহিলা রচিত। চীন-জাপান যুদ্ধে তাহার প্রণয়ীর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে আক্ষেপ ক’রে লিখে ছিলেন। কোন ভাবুক পাঠক নীল পেন্সিল দিয়ে তার অনেক গুলি ছত্রের নীচে দাগ দিয়াছেন দেখিলাম। একটী ছত্রের অর্থ সরল ভাষায় এইরূপ,—
“হে প্রিয়জন! তোমার মধুর স্মৃতি এ জনমে ভুলিবার নয়।”
ঠিক যেন আমাদের বঙ্গ-সাহিত্যের এই সরল উক্তিটির মত,—
“তুমি যে দিয়েছ দেখা
পাষণে তা আছে লেখা,
হৃদয় ভাঙ্গিলে সে তো মুছিবার নয়।”
যখন সেই চীনেম্যানটীর নিকট এইসব পুস্তক সম্বন্ধে কথা কহিতে