পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুড়াল উপাখ্যান । > হইয়া নিরন্তর ব্রহ্ম বিচার দ্বারা পরমাত্মযোগসাধনে প্রবৃত্ত হইলেন। এক সময়ে সতত ব্রহ্মবেত্তাদিগের মুখ হইতে শ্রুত ংসার তারণ তরণী তুল্য শাস্ত্রার্থ সকল আলোচনায় প্রবৃত্ত হইয়া স্বীয় সমুজ্জ্বল বুদ্ধির দ্বারা মনোমধ্যে এইরূপ বিচার করেন যে, “দিবারাত্রি মধ্যে কি নিমিত্ত আমি আত্মাকে ব্যবহার ব্যাপারে নিযুক্ত করিব, কিম্বা কি নির্মুিক্তই বা না করিব, কদলী বৃক্ষের ন্যায় অসার যে এই সংসার ধৰ্ম্ম ব্যবহার কৰ্ম্ম, ইহাতে প্রবৃত্ত হইয়া আমি. অকারণে কেন আত্মাকে আবদ্ধ করিব। অথবা এই উপস্থিত বিষয় ত্যাগ করিয়াই বা আমার কি ইষ্টলাভ হইবেক, কি প্রকারে এতাবৎ বিচার করিতে করিতে স্বকীয় আত্মাকে আমি চিত্তদর্পণে সন্দর্শন করিতে সমর্থ হইব। এক্ষণে এইরূপ চিন্তা করিতেছি, যে আমি এই শরীর দ্বারা স্নান ভোজন শয়ন গমন উপবেশনাদি কৰ্ম্ম করিয়া স্থিত হই, যে আমি এই মন দ্বারা নানা সদসৎ বস্তুর চিন্তা, ও নানা ভাবাভাব বিষয় সকল মনন দ্বারা ত্যাগ গ্রহণ কল্পনা করিতেছি, সে অামি কি বস্তু, কিরূপ, এই দেহ জ্ঞানরহিত পঞ্চভূতের সমষ্টি জড়পদার্থ মাত্র, মরণে চৈতন্য থাকে না, এজন্য দেহরূপ আমি নহি, কৰ্ম্মেন্দ্রিয় ও জ্ঞানেন্দ্রিয় সকলও দেহ হইতে ভিন্ন নহে, সেইরূপ জড়, যেহেতু মনের সঙ্কল্পের দ্বারা প্রেরিত হয়। এ বিধায় ইন্দ্ৰিয়রূপও জুমি নহি, কেবল মিথ্য সঙ্কল্প শক্তিবিশিষ্ট