পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

A R. চুড়াল উপাখ্যান। মিথ্য ভ্রমরূপ মাত্র, এ সকলের চিন্তা পরিত্যাগ করিয়া নির্জনে ধ্যানের দ্বারা বাক্য মনের অগোচর ইন্দ্রিয়াদির অগম্য আকারবিহীন অদ্বিতীয় সত্যস্বরূপ কোন অনিৰ্ব্বচনীয় বস্তু প্রাপ্ত হওয়াতে শ্ৰীমতী হই । মায়াময় বস্তুমাত্রের যেরূপে উৎপত্তি ও যেরূপে নাশ হয়, তাহ আমি জানি, এবং কোপহর্ষশোকাদিবিকার আমার মনেতে নাই । তোমার এই মহৎ ঐশ্বৰ্য্য রাজ্যভোগেতেও আমার মন রত হয় না, সতত আত্মদৃষ্টি দ্বারা সর্বদা কেবল অহোরাত্র স্বহয়ে রমণ করি । শরীরের প্রতি দ্বেষ হয় এবং যে বাক্যেতে ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ হয়, এমত বাক্যের দ্বারা শাস্ত্র দৃষ্টিরূপ সখীর সহিত একাকিনী সর্বদা ক্রীড়া করিয়া থাকি । চক্ষু কৰ্ণ নাসিকারূপ ছিদ্র দ্বারা চিত্তেতে প্রকাশ পায় যে সকল বস্তু ও যে সকল বিষয় তাহা অসত্য, তাহ ভিন্ন সৰ্ব্বসারাৎসার যে পদার্থ, সেই সত্য আমি আত্মরূপে দর্শন করি । হে নাথ ! আমি অন্তরে কি বাহিরে অন্য আর কিছুই দেখি না, হে প্রাণনাথ ! শরীরাদি কোন বস্তুরূপিণী আমি নহি, জগতের পরমেশ্বর আমি, ইহা নিশ্চয় জানিয়া অন্তরাত্মাতে সদা পূর্ণ পরিতৃপ্ত আছি। এই কারণে সদানন্দময়ী হইয়া ক্রমতী হই । পরমাত্মাতে বিশ্রান্তিপ্রাপ্ত নিজ পাঠশ্বরীর তাদৃশ আশ্চর্য জ্ঞানযুক্ত গভীর বাক্য সকল শ্রবণ করিয়া রাজা তাহার যথার্থ মৰ্ম্ম না বুঝিয়া পরিহাসক্রমে কহিলেন, প্রিয়ে।