পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুড়াল উপাখ্যান । מכל আমার কোন মতে ইচ্ছা নাই । রাজা কহিলেন, প্রেয়সি ! পতিপরায়ণ কুলস্ত্রীতে স্বপ্নেও কখন স্বামীর ইচ্ছার অন্যথা করেন না, অতএব তুমি আমার এই অভিলষিত নিশ্চয় মন্ত্রণায় কদাচ বাধা জন্মাইবে না। আমি অনেকদূরস্থ নিবিড় বনমধ্যে প্রস্থান করিয়াছি, জানিবে । নৃপতি স্বীয় প্ৰাণেশ্বরী প্রিয়তম ভাৰ্য্যাকে এইরূপ কহিয়া অন্তঃপুর হইতে বাহিরে গমনপূর্বক তদিনের কর্তব্য কৰ্ম্ম সকল যথাবিধানে সমাধা করিলেন। পরে ক্রমে ক্রমৃে দিবাবসান হইয়া সূৰ্য্যদেব অস্তাচলে গমন করিলে ঘোর অন্ধকারযুক্ত রজনী আগত হইল। তদনন্তর ভূপতি সায়ংসন্ধ্যাদি নিত্যক্রিয়া সমুদায় সমাপন করিয়া প্রেয়সী মহিষীর সহিত দুগ্ধ ফেন-নিভ স্বকোমল সুশোভন শয্যাতে শান্তচিত্তে শয়ন কুরিলেন- অনন্তর অৰ্দ্ধরাত্রি সময়ে সকল দিক নিস্তব্ধ ও লোক সকল ঘোর নিদ্রায় অভিভূত হইলে রাজা শয্যা হইতে গাত্ৰোখান করিয়া পালঙ্কোপরি ভার্ষ্যাকে একাকিনী পরিত্যাগপূর্বক খড়গহন্তে একাকী নিঃশব্দে রাজভবন হইতে বহির্গত হইয়া নির্ভয়ে ক্রমে ক্রমে নগর গ্রাম পুর সকল ছাড়াইয়া রাত্রিতে বৃক্ষমূলে বাস ও দিবাভাগে গমন করিতে করিতে দশ দিবস পরে জনস্থান হইতে অনেক দূর মন্দারপৰ্ব্বতের নিকট দুর্গম এক জনশূন্য ভয়ানক অরণ্য মধ্যে প্রবেশ করিলেন। সেই বনে নানা ফল পুষ্পপত্রাদিস্তে শাভিত বৃক্ষশ্রেণীতে শোভমান, এবং পুরাতন ভগ্ন