পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रै ० চুড়াল উপাখ্যান। অষ্টাদশবর্ষ পর্যন্ত সৰ্ব্বত্র সমান দৃষ্টির দ্বারা রাজার স্যায় অতি স্থশূঙ্খলার সহিত স্থন্দরব্রুপে সেই রাজ্যপালন কাৰ্য্য নির্বাহ করিয়া গৃহেতে অবস্থান করেন। ওখানে রাজাও নিবিড় অরণ্যে দৃঢ়ব্ৰত হইয় একাগ্রচিত্তে কঠোর তপস্যা চরণ করেন । - অষ্টাদশবর্ষ অতীত হইলে একদা রাজমহিষী চুড়াল নিজ প্রাণকান্তের সহিত সাক্ষাৎকরণাভিলাষে মন্দার পর্বতে গমন করিতে মানস করিয়া এক দিবস নির্জনে একাকিনী অদৃশ্ব্যরূপে নিজ অন্তঃপুর হইতে বহির্গত হইয়া যোগবলে অবিলম্বে মন্দারগিরির সেই বন মধ্যে রাজা শিখিধ্বজের তপস্যাশ্রম ভূমিতে উপস্থিত হইলেন, এবং বৃক্ষান্তরাল হইতে দুরে সেই আশ্রমস্থ কুটির মধ্যে বিকৃতাঙ্গ কৃষ্ণবর্ণ নিজ মাথের জীর্ণ দেহ দর্শন করিয়া অতিশয় দুঃখিতচিত্তে চিন্তা করিলেন, যে হায় এ কি কষ্ট! একি বিধির বিড়ম্বনী ! এ কি আশ্চৰ্য্য! সর্বশাস্ত্রবেত্ত ব্যক্তির একি মহামূৰ্খতা ! যাহাঁতে তাদৃশ জ্ঞান ও গুণযুক্ত পুরুষও এমত কুরূপ প্রাপ্ত হইয়াছেন । যাহা হউক অদ্য আমি অবশ্বাই প্ৰাণেশ্বরকে তত্ত্বজ্ঞান প্রদান করিয়া জ্ঞেয় ব্রহ্ম বস্তু জানাইয়া ভোগ মোক্ষ শ্ৰী প্রদান করিব, সন্দেহ নাই। কিন্তু গৃহে নিবাসকালে নিজ স্ত্রীরূপে পুনঃপুনঃ উপদেশ করিলেও, “তুমি মুখ। অবল চঞ্চলবুদ্ধি স্ত্রীলোক” এই প্রকার কহিয়া তাচ্ছল্য বোধে আমার সে উপদেশ বাক্য সকল গ্রাহ্য করেন নাই,