পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুড়াল উপাখ্যান । ২৫ তাহাতে ক্ষণমাত্র বিচলিত হইলে মন স্বভাবতঃ বাহ্যবিষয়েতে অকৃষ্ট হওয়াতে কাম ক্রোধ হর্ষ শোকাদি নানাবিধ বিকার প্রাপ্ত হয়। হে সাধো ! এই কারণে সেই মুনির মনে কাম বিকীর উপস্থিত হইয়াছিল। ফলতঃ সে কাম র্তাহার গণনার বিষয় নহে। হে রাজর্ষে ! এই আমি আত্মবিবরণ সমুদায় তোমার নিকট কহিলাম, এক্ষণে তুমি কে ? কি নিমিত্তে এই দুর্গম পৰ্ব্বতারণ্য আশ্রয় করিয়া বনবাসে আপন শরীরকে কষ্ট প্রদান করিতেছ, বিস্তারিত বল । রাজা কছিলেন, হে মুনিপুত্র! তুমি সৰ্ব্বজ্ঞ, দূরদৃষ্টি জ্ঞান দ্বারা সকল জানিতেছ, তথাপি জিজ্ঞাসা করিলে, অতএব আপন বৃত্তান্ত বলিতেছি, শ্রবণ করহ । আমি শিখিধ্বজনামে রাজা । ইহ সংসারে কৰ্ম্মশৃঙ্খলে দৃঢ়রূপে বদ্ধ হওয়াতে জন্ম মরণরূপ গতায়াতের দ্বার গৰ্ত্তকারাগারের মধ্যে প্রবেশ ভয়েতে ভীত হইয়া বিবেকাশ্রয়- \ পূর্বক রাজ্য ঐশ্বৰ্য্য সম্পত্তি সমুদায় পরিত্যাগ করিয়া এই বনে পৰ্ব্বতগুহার আশ্রয়ে বাস করিতেছি । সম্যক্ প্রকারে লোকসংসর্গবিহীন এই অরণ্যবাস দ্বারা বহু কঠোর তপস্যা করিলেও আমার তাদৃশ তাপিত অন্তঃকরণে কোন প্রকারে শান্তিলাভ হয় না, সৰ্ব্বদা বিষের ন্যায় হৃদয় দগ্ধ করে, হে মুনিস্থত । অদ্য এ স্থানে তোমার সন্দর্শনে তোমার. বাক্যামৃতাভিষেক দ্বার। আমি অনেক শান্ত হইলাম । চুড়াল কহিলেন হে ক্ষিতিপাল ! তপস্ত। জপ দান N○