পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS চুড়াল উপাখ্যান । তীর্থসেবা ব্রতনিয়মাদি কৰ্ম্ম সকল কেবল কালযাপনৰ্থ মাত্র হয়, সদগুরু হইতে উপদেশপ্রাপ্তি নিজ বুদ্ধি যুক্তি ও শাস্ত্রদৃষ্টি দ্বারা যে তত্ত্বজ্ঞান লাভ হয়, তাহাই শ্ৰেয়ঃসাধন জানিবে । অজ্ঞানদিগের নিমিত্ত জপ তপ ব্রতনিয়মাদি বিবিধ কৰ্ম্মের বিধান হইয়াছে। জ্ঞানী ব্যক্তির কোন বাসন না থাকাতে শু্যামালতা যেমত ফলে না, সেইরূপ কৰ্ম্মাদি কোন ইষ্টফলজনক হয় না। বিষয় জন্য সুখদুঃখ প্রকাশের নাম বন্ধন । সেই বন্ধন মোচন হইলেই মোক্ষ হয়, এইরূপ ব্যবস্থা বিচার দ্বারা অদ্বৈত এক জ্ঞেয় ব্রহ্ম ভিন্ন অন্য বস্তু না থাকাতে সুখদুঃখাদি কিছুই নাই, এইরূপ স্থির জ্ঞান হুইলে জীব ব্রহ্মস্বরূপ প্রাপ্ত হন । যেমত ভ্রমরহিত ব্যক্তির নির্জল ভূমিতে মৃগতৃষ্ণিকাদৃষ্টে জল বোধ হয় না, সেইরূপ সৰ্ব্ব বৃস্তু পরমাত্মা ও ব্রহ্মস্বরূপ, এইরূপ স্থির ভাবন দ্বারা যাহার এই অসার জগন্তুম সমূলে বিনষ্ট হয়, তাহার আর কোন বাসনার উদয় ছন্ন না, হে ভূপ! সেই বাসনার নাশ হইলে পুনঃপুনঃ জন্মমরণবর্জিত হইয়া ংসার হইতে মুক্তি হয়। সংসার তারণের কারণ জ্ঞান। সেই জ্ঞানার্জন না করিয়া অজ্ঞানীর ন্যায় কেন বৃথা মুগ্ধ হইতেছ। আমি কে ? কিরূপ, এই জগৎ কিরূপে উৎপন্ন হইয়াছে, এবং কিরূপেই বা শান্ত হইবে, এই প্রকার বিচার দ্বারা যথার্থ দৰ্শন না করিয়া মূঢ়ের ন্যায় কেন কষ্টভোগ করিতেছ। জীবের বন্ধন কিরূপে হয়, এবং কিরূপেই