পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০ চুড়াল উপাখ্যান । করিয়া রক্তমাংসাস্থিময় কেবল এই দেহমাত্র আমার অবশিষ্ট আছে। তবে এখন ইহাও আমি পরিত্যাগ করি। রাজ। এই কথা বলিয়৷ দেহত্যাগার্থ নিকটবর্তি পর্বতগহবর মধ্যে পতিত হইবার মানলে দ্রুতবেগে গমনোদ্যত হইলে, চুড়াল বলপূর্বক রাজার হস্তধারণ করিয়া কছিলেন, রাজন্‌ ! অকালে পাঞ্চভৌতিক জড় এই অনিত্য শরীর ত্যাগ করিতে ইচ্ছা করিয়া তুমি নিতান্ত মূখ অজ্ঞানীর স্থায় কাৰ্য্য করিতে উদ্যত হইয়াছ, যেহেতু এই শরীর ত্যাগেও তোমার সর্বত্যাগ সিদ্ধ হইবে না, সর্বত্যাগ অতি দুঃসাধ্য বিষয় জানিবে। যাহার দ্বারা এই দেহ ক্ষুব্ধ ও প্রসন্ন হয়, যে বস্তু দ্বারা সুখদুঃখাদি অনুভব হয়, যে বস্ত জন্মকৰ্ম্মের বীজ, সেই পাপস্বরূপ বস্তু যদি তুমি অশেষ প্রকারে পরিত্যাগ করিতে পার, তবে তোমার বিধিমত প্রকারে সর্বত্যাগ সিদ্ধি হইবে । রাজ কহিলেন, হে দেব ! কি বস্তুর দ্বারা দেহ ক্ষুব্ধ ও প্রসন্ন হয়, এবং জন্মকর্মের বীজ বা কোন বস্তু, তাহ বিশেষ করিয়া বল। চুড়ালা কছিলেন, জন্মকৰ্ম্মের বীজ, ও শোকহর্ষাদির কারণ চিত্ত । ষে চিত্ত দেহকে চালনা করে, সেই চিত্ত ত্যাগ হইলেই সর্বত্যাগ হয়। ইহা শাস্ত্রে কছেন, সেই চিত্ত ত্যাগের দ্বার সর্বত্যাগ সিদ্ধি হইলে ভেদাভেদরহিত বিকারাদি শূন্ত শাস্ত কেবল এক পরম পদ অবশিষ্ট থাকে, অতএব সৰ্ব্বত্যাগ পরমানন্দরূপ, অন্য কৰ্ম্মাদি কেবল দুঃখরূপ মাত্র