পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চুড়াল উপাখ্যান । ל 5י জানিবে । রাজা কহিলেন, হে দেব ! চিত্তের আকার কি প্রকার, এবং সেই চিত্তত্যাগই বা কি উপায়ে ছয়, আমাকে বিস্তারপূর্বক বিশেষ করিয়া বল। তাহ জ্ঞাত হইয়া আমি সেই চিত্তত্যাগে যত্ন করিতে পারি । চুড়াল কহিলেন, মহত্তত্ত্ব হইতে প্রকাশিত অস্তরেতে জ্ঞানরূপ অহংপদার্থের যে উদয় হয়, অর্থাৎ অামি এইরূপ যে এক জ্ঞান উদয় হয়, সেই অহংজ্ঞান চিত্তবৃক্ষের বীজ । সেই অহংজ্ঞানের যে অনুভবরূপ অঙ্কুর অর্থাৎ যাহা দ্বারা বস্তুর নিশ্চয় হয়, সেই নিশ্চয়াত্মিক বুদ্ধি জানিবে, অপর সেই নিশ্চয়াত্মিক বুদ্ধির সঙ্কল্পশক্তিযুক্ত যে স্থলরূপ তাহারই নাম চিত্ত, শাস্ত্রে কহিয়াছেন। নানা প্রকার শুভাশুভ বাসন সেই চিত্তবৃক্ষের শাখাস্বরূপ । তাছাতে বিবিধ ফলোৎপত্তি হয়। অতএব তুমি সেই দুষ্টচিত্ত বৃক্ষের শাখা সকল ছেদন করিয়া শেষ তাহার भूषा মূল যে অহঙ্কার তাই বিধিমত প্রকারে বিনাশ করিতে যত্নবান হও । চিত্তবৃক্ষের মূল ও অস্কুরের সহিত ষে উৎপাটন, তাহারই নাম সৰ্ব্বত্যাগ, ত্যাগবেত্তার বলেন, শাখাচ্ছেদন গৌণ কৰ্ম্ম, মূলচ্ছেদন মুখ্য কৰ্ম্ম। প্রথমতঃ তুমি তাহার শাখা সকল চ্ছেদন দ্বারা পরে তাহার মূল পৰ্য্যন্ত দগ্ধ কর, তবে তোমার চিত্ত অচিত্তরূপে স্থিত হই । বেক । যে ব্যক্তি বস্তু মাত্রেতে অনাসক্ত, বিরুদ্ধবিচারণত্যাগী ও উপস্থিত কৰ্ম্মকারী হয়, তাহার চিত্ত ত্যাগ 為路