পাতা:চুড়ালা উপাখ্যান.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ 5 চুড়াল উপাখ্যান । বিবেচনা করিলেন, যে আমার বনিতা স্বেচ্ছাপূর্বক কামন্বিত হইয়া অন্য পুরুষ সংসর্গে স্থখানুভব করিতেছে, করুক, নিকটে যাইয়া হঠাৎ প্রীতির ব্যাঘাত করা উচিত হয় না। রাজা নির্বিকীরচিত্তে এইরূপ সিদ্ধান্ত স্থির করিয়া তথা হইতে নিজ কুটিরে আগমন করিয়া আসনোপবিষ্ট হইয়া ব্ৰহ্মধ্যানে রত হইলে, চুড়াল ব্যাকুলিতচিত্তে অতি ব্যস্ততাসহকারে রাজার সম্মুখে যাইয়া মলিনান্তঃকরণে বিীর্ষযুক্ত হইয়া কপট লজ্জাবনতমুখে দণ্ডায়মান হইলেন। রাজা তাদৃশাকার ভাৰ্য্যাকে দেখিয় নিরুদ্বেগচিত্তে সহাস্যমুখে কহিলেন, প্রিয়ে ! তুমি এত শীঘ্ৰ আনন্দের ব্যাঘাত করিয়া কি নিমিত্ত এখানে আসিয়াছ, স্বেচ্ছামত যাইয়৷ সেই উপপ্পতির সহিত মনস্তুষ্টি সাধন কর । চুড়াল কহিলেন, মহারাজ ! চঞ্চল প্রকৃতি স্ত্রীলোকের এইরূপ কাম স্বভাবসিদ্ধ জানিবে। ইহাতে আশ্চৰ্য্য বোধ করিয়া ক্রোধ করিও না । হে নাথ! তুমি সূক্ষদশী জ্ঞানী। আমি অসমীক্ষ্যকারিণী, অপরাধিনী, মুখ যুবতী কামিনী। তুমি আমার অপরাধ ক্ষমা কর। হে মহারাজ ! সাধু জ্ঞানী ব্যক্তিরা সদা ক্ষমাগুণযুক্ত হইয়া থাকেন। রাজা কহিলেন, আকাশে যেমত বন উৎপন্ন হয় না, সেইরূপ আমার অন্তঃকরণেও ক্রোধের উৎপত্তি নাই । হে অবলে! একমাত্র নিত্য সত্য পরম বস্তু ভিন্ন আমি